কলারোয়ায় হা-ডু-ডু খেলায় জনতার ঢল
এক যুগ আগেও স্কুল-কলেজ ও জেলা পর্যায়ে আয়োজন করা হতো বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু। কালের পরিক্রমা আর আধুনিক খেলার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা হা-ডু-ডু। জাতীয় ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে শুক্রবার কলারোয়া পৌর সদরের ঝিকরা চৌরাস্তার মোড় যুবসংঘের আয়োজন করা হয় এ খেলায় স্থানীয় জনতাকে সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যান আয়োজক কমিটি। আয়োজকরা সাংবাদিকদের জানান-হা-ডু-ডু খেলার জনপ্রিয়তা দেশের গন্ডি পেরিয়ে স্থান করে নিয়েছিল বিদেশি ক্রীড়া অঙ্গনেও। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আর আধুনিক সব খেলার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ খেলাটি। হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কলারোয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এনায়েত খান টন্টুর ব্যক্তিগত উদ্যোগে আয়োজন করা হয় হা-ডু-ডু এ প্রতিযোগিতা। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় বাজার সংলগ্ন ঝিকরা চৌরাস্তার মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় এ ফাইনাল খেলা। এ খেলায় অংশ গ্রহণ করেন- মনি, রুস্তম, আসাদুল, সুজন, মামুন, আকাশ, সাগর, আলামিন, মোরশেদ, হাসান, রনি, বাপ্পা, আরিফ, শফি, মামুন, মিজান, সোহাগ, সুমন, মাগফুর, মুকুল, জাকির, মিজান, মোহর আলী, জলিল, আব্দুর রব, ফজলু। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সাবেক আহবায়ক ও জেলা আ.লীগের উপদেষ্টার সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল আলম মল্লিক রবি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এনায়েত খান টন্টু, মাস্টার শামিমুজ্জামান, ডাঃ শাহিনুজ্জামান, শিক্ষক হুমায়ুন কবীর, সমাজসেবক একুব্বার, আঃ সাত্তার, আঃ রাজ্জাক, আতিয়ার বিশ্বাস খোকন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। খেলা পরিচালনা করেন সমাজসেবক মাগফুর রহমান। খেলা দেখতে দুপুর থেকেই খেলার মাঠে উপস্থিত হন শত শত জনতা। দীর্ঘদিন পর খেলা উপভোগ করতে পেরে খুশি দর্শকবৃন্দ। এলাকার স্কুলছাত্র সাগর হোসেন জানায়, আমি আগে কখনও এই খেলা দেখিনি। বাবা-মায়ের কাছে হা-ডু-ডু খেলার কথা শুনেছি। খেলাটি দেখে আমি খুবই আনন্দ পেয়েছি। কলারোয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এনায়েত খান টন্টু, জানান, জাতীয় এ খেলাটির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতেই তাদের এ আয়োজন। আগামীতেও তাদের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। খেলা শেষে পুরুস্কার বিতরণ করা হয় বিজয়ীদলকে।