প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলাদেশের প্রথম শতভাগ ডিজিটাল হাজিরার আওতায় এসেছে দেবহাটা
প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলাদেশের প্রথম শতভাগ ডিজিটাল হাজিরার আওতায় এসেছে দেবহাটা উপজেলা। ঝরে পড়া রোধে ২০১৭সালের ২৩ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেবহাটায় ডিজিটাল হাজিরা উদ্বোধন করেন, সাবেক সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন।
সাতক্ষীরায় প্রাথমিকস্তর থেকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের সাথে পরিচিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাজিরা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি শতভাগ উপস্থিতিও নিশ্চিত হচ্ছে।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, “ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থায় শিক্ষকরাও আসছেন যথাসময়ে।”
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে, “প্রথমে ডিজিটাল হাজিরা দিতে ভয় পেতাম আমরা। এখন নিজেরাই হাজিরা দিতে পারি।
“এমন কি সকাল হলে ডিজিটাল হাজিরা প্রদানের আনন্দে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে আসি।”
আরেক শিক্ষার্থী বলে, “হাজিরা দিলে আমাদেরকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলা হয়। এটা ভালো লাগে।”
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল-আসাদ বলেন, সাতক্ষীরা জেলার প্রথম শতভাগ ডিজিটাল হাজিরার আওতায় এসেছে দেবহাটা উপজেলা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিতি শতভাগ হওয়া এবং তারই ধারাবাহিকতায় দেবহাটা ঝরে পড়া রোধে গত ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর সোমবার সাবেক সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দেবহাটা উপজেলায় ২৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন উদ্বোধন করেন এবং ৬০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯ ইঞ্চি মনিটর ও ১৬জিবি পেনড্রাইভ বিতরণ করেন।
ডিজিটাল হাজিরার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রথমে ডিজিটাল হাজিরা দিতে তারা ভয় পেলেও বর্তমানে নিজেরা হাজিরা দিতে পারে। ডিজিটাল হাজিরা মেশিনের বদৌলতে শিক্ষকদের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা সময়মত বিদ্যালয়ে আসে। কেননা জিডিটাল হাজিরায় কোন লুকোচুরি করার সুযোগ নেই।
সাতক্ষীরার প্রথম দেবহাটা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সুশৃংঙ্খলভাবে শতভাগ ডিজিটাল হাজিরার নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় আগামীতে শতভাগ হাজিরার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।