চোখের জলে মাকে বাঁচানোর জন্য ছেলের আকুতি
এক যুগ ধরে সন্তান কে নিয়ে যুদ্ধ করা এক হার না মানা মা নার্গিস খাতুন।
নুন আনতে পন্তা ফুরায়, তেল আনতে ডাল শেষ । নিত্য অভাব আর দারিদ্র্যতার মধ্যদিয়ে নার্গিস খাতুন ও তার ছেলে জাহিদের সংসার । অন্যের বড়িতে কনো রকমে কাজ করে টিকে থাকার আশ্রয় খুঁজছিলেন মা ও ছেলে।
কিন্তু এখন তিনি অসহায়, টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন । থমকে গেছে তার জীবন । অসুস্থ শরীর নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে দিন পার করছেন তিনি । ২৪ ঘণ্টায় একদিন হলেও এই অসহায় মা ও ছেলের কাছে ৪৮ ঘণ্টায় জেনো এক দিন । তাই সন্তান জাহিদ কে নিয়ে উন্মা প্রকাশ করা ছাড়া তার কারার কিছু নেই ।
সে সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নের ফয়জুল্যাপুর গ্রামের মোহম্মদ আলীর মেয়ে ।
সহায় সম্বল হীন নার্গিস খাতুন ১২ বছরের আগে স্বামী ছেড়ে পিতার এক টুকরো জমিতে বাস করে আসছেন। এখন ও পাননি ইউনিয়ন পরিষদ ও দাতা সংস্থার থেকে কনো সাহায্য সহযোগিতা । অন্যের বাড়িতে কাজ করলে, তার চুলা জ¦লে, না করলে জ¦লেনা । এক মাত্র সন্তান কে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে যতো টা সম্ভব তিনি করছিলেন। কিন্তু এমন এক সময় এই মরণ ব্যাধিতে থমকে যেতে বসেছে তার জীবন প্রদীপ । ডাক্তার বলেছে পিত্তথলিতে পাথর ও প্রসব নাড়িতে ইনফেকশন হয়েছে । দ্রুত সম্ভব অপারেশন করতে হবে। খরচ হবে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত। তাই টাকার অভাবে মৃত্যু জেনো তার দুয়ারে কড়া নাড়ছে। সেই সাথে ছেলে জাহিদ কে নিয়ে দুশ্চিন্তা করে বলেন, তার চলে যাবার পর ছেলেটা এতিম হয়ে যাবে থাকবে না আর দেখা শোনা করার মতো কেউ ।
এক মাত্র ছেলে জাহিদ হাসান (১৭) চোখের জলে দেশের বিবেক বান মানুষের কাছে তার মায়ের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসার আকুতি জানিয়েছেন ।
যোগাযোগ ( রোগীর পরিবার ) – ০১৭২৯৫৭৬০৫৪