পাটকেলঘাটায় মেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় মাকে তালাক দিলেন বাবা
প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে মেয়ে পালিয়েছে প্রেমিকের সঙ্গে। তাতেই কপাল পুড়েছে মেয়ের মায়ের। মেয়ে পালিয়েছে এই ক্ষোভে মেয়ের মাকে তালাক দিয়ে দিয়েছেন বাবা। ঘটনাটি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানা সদরের আমতলারডাঙ্গী গ্রামের।
পাটকেলঘাটা থানা সদরের আমতলারডাঙ্গী গ্রামের মজনু মোড়লের মেয়ে পাটকলেঘাটা আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তা আক্তারের (১৪) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আশরাফুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবকের। প্রেমিক আশরাফুল ইসলাম পাটকেলঘাটা থানার খলিশখালি ইউনিয়নের চোমরখালি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোড়লের ছেলে।
গত ১৪ আগস্ট বেলা ১০টার দিকে মেয়েটি প্রেমিক আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। সেই থেকে তারা এখনও নিরুদ্দেশ।
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে ঈদের আগের দিন মেয়েটির বাবা মজনু মোড়ল (৪২) তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে তালাক দিয়েছেন।
তিনি আর কোনোভাবেই মেয়ে বা মেয়ের মাকে গ্রহণ করবেন না জানিয়ে বলেন, আমার মেয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। নাবালিকা মেয়ে। আমি সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। কাজের কারণে কোনোদিন দুপুরে বাড়িতে যাই আবার কোনোদিন যাওয়া হয় না। শুনেছি ওই ছেলে বিভিন্ন সময় আমার বাড়িতে যেতো। বহুবার নিষেধ করেও কোনো লাভ হয়নি। মেয়ের মা ছেলেকে ঘরে তুলে তাদের গল্প করার সুযোগ করে দিতো। যেদিন বাড়ি থেকে চলে যায় সেদিনও মেয়ের জামা-কাপড় ও জন্ম নিবন্ধনের কার্ড পাটকেলঘাটা বাজারে এসে দিয়ে গেছে মেয়ের মা। এসব কারণে তাকে আমি তালাক দিয়ে দিয়েছি।
কোথাও কোনো অভিযোগ করেছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যখন আমার বাড়িতে ছেলেটি যাতায়াত করতো ও মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতো তখন থানাতে সাধারণ ডায়েরি করার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু মেয়ের মা সেটিও করতে দেয়নি। এখন অভিযোগ দিলে কি হবে? মেয়ে, মেয়ের মা, ছেলে তারা সবাই এক। কোথাও অভিযোগ দেইনি, দিতেও চাই না।
ঘটনার বিষয়ে জানতে তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া প্রেমিক আশরাফুল ইসলামের ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা যায়নি।
এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।