আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করছে কে এই ব্যক্তি ?
শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনের কোল ঘেঁসে গড়ে ওঠা নান্দনিক পার্ক আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে চলছে প্রকাশ্যে মাদক সেবন। গত বুধবার ঈদুল আযহার দিন বিকাল ৪টার দিকে সাংবাদিকের ক্যামেরায় উক্ত মাদক সেবনের চিত্র ধরা পড়ে। সাংবাদিক পার্কে ঘুরা ঘুরি করতে করতে হঠাৎ জন সম্মুখে ফেনসিডিল সেবন করার দৃশ্য দেখে তাৎক্ষনিক চিত্রটি ক্যামেরা বন্দি করা হয়। অনেক মানুষের ভীরে এক জন সাদা পাঞ্জাবী পরিহিত মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সেন্টার কালিনগর আইত গ্রামের মাষ্টার আবু ইছাক এর পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বকুল ইকো ট্যুরজিম সেন্টারের মাঝখানের ছাউনির নিচে বসে জমিদার স্টাইলে ফেন্সিডিল সেবন করছে। এসময় সাংবাদিক নিজের পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ মানুষের কাতারে দাড়িয়ে ফেন্সিডিল সেবন কারীর কথা গুলো শুনেছে, সে বলছে প্রশাসন আমার কিছু করতে পারবে না। আমি সর্বত্র এভাবেই ফেন্সিডিল খেয়ে থাকি। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজেলার একটি প্রাণ কেন্দ্র হলো আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার এখানে দেশ এবং দেশের বাইরের দর্শনার্থীদের ভীর প্রায়ই লেগে থাকে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে আকাশলীনায় আসে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। আর সেই স্থানে এমন মাদকের ছড়াছড়ি থাকলে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন সহ অত্র এলাকার মানুষের মান অক্ষুণ্ণ থাকবে এমনটা আশা করা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়। যিনি প্রকাশ্যে মাদক সেবন করছেন খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি একজন সাবেক জন প্রতিনিধি ইউপি সদস্য, সমাজের ভবিষ্যৎ যাদের হাতে তারাই যদি এমন হয় তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদক নির্মূলের জন্য দেশ ব্যপী যে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাতে বর্তমানে মাদক নিয়ত্রন শত ভাগ হয়েছে, কিন্তু এরা কারা? প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে এভাবে প্রকাশ্যে মাদক সেবন করতে দেখে এলাকার সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। এবং যে স্থানে শিশুদের পদচারনা থাকে সেই স্থান কে পবিত্র বলে মনে করেন তারা। এলক্ষে পবিত্র স্থানকে অপবিত্র কারী মাদক সেবী উক্ত মেম্বারের আসু গ্রেফতার সহ শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা।