রোহিঙ্গাদের ঈদ আমেজ
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গারাও আমেজ নিয়ে এবার ঈদুল আজহা পালন করেছে। কারণ গত বছর এ সময় তাদের ঈদ কেটেছে রাস্তায় বা উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ে। তাই এক বছর পরে এসে ঈদ উদযাপন করতে পেরে বেশ খুশি রোহিঙ্গারা।
জানা গেছে, উখিয়া-টেকনাফের ২০টির বেশি ক্যাম্পে এবার রোহিঙ্গারা ঈদ উদযাপন করেছে। বিভিন্ন এনজিও সংস্থা পরিচালিত স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে নতুন পোশাক। ইতোমধ্যে প্রায় ১২ হাজার পশু জবাই করেছে জেলা প্রশাসন। যা রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
কুতুপালং মধুছড়া ক্যাম্পের হেড মাঝি নুরুল আলম জানান, গত বছর এ সময় আমাদের খুব কষ্টের দিন গেছে। এবার বাংলাদেশে এসে আমরা অনেক স্বস্থিতে আছি। আমার ক্যাম্পে সকল পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে গরুর মাংস দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের জন্য স্কুলগুলোতে কাপড় দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের ঈদটা আমাদের ভাল যাচ্ছে।
বালুখালী বি-ব্লকের হেড মাঝি শফি আলম জানান, এবারের কোরবানীর ঈদে আমরা সব কিছু পাচ্ছি। গতবারের চেয়ে এবারের ঈদে অনেক আনন্দ করবো।
তুমব্রুর শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মাঝি দিল মোহাম্মদ জানান, শূন্যরেখায় অবস্থানরত প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গার জন্য বিভিন্ন ঈদ সামগ্রী দেয়া হয়েছে। এক বছর পরে এসে এমন উৎসবমুখর ঈদ করতে পারবো ভাবিনি। মিয়ানমারে নির্যাতনের পর কখনো উৎসবের দেখা পাবো কল্পনাও করিনি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান জানান, কোরবানীর ঈদে রোহিঙ্গাদের জন্য সবকিছু করা হচ্ছে। বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে ঈদ সামগ্রী। নতুন কাপড়ও দিচ্ছে অনেক এনজিও সংস্থা। সব মিলিয়ে এবারের ঈদটা ভাল কাটবে রোহিঙ্গাদের।
20
