শ্যামনগরে প্রবীণ আ.লীগের নেতার নামে মিথ্যা নাশকতার মামলা দিয়ে হয়রানি

সাতক্ষীরায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী নুরুজ্জামান কর্তৃক পাতাখালী এলাকার প্রবীণ আ’লীগ কর্মীকে নাশকতাসহ একাধিক মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগরের পাতাখালি গ্রামের মৃত মফিজুদ্দিন গাজীর ছেলে আহাম্মাদ উল্যাহ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পাতাখালী মৌজায় ৬৪ বিঘা জমি নিয়ে একই এলাকার মৃত. আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে প্রভাবশালী, দুর্ধর্ষ ও মামলাবাজ নুরুজ্জামানের সাথে আমাদের বিরোধ রয়েছে। ওই জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০০৯ সালের ১৫ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নুরুজ্জামান গংরা ইসমাইল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা করে। ওই হত্যা মামলার আমি ১নং সাক্ষী এবং আমার পরিবারের অন্য সদস্যরাও সাক্ষী। ওই মামলায় সাক্ষী না দেওয়ার জন্য নুরুজ্জামান আমাদের হুমকি দেয়। কিন্তু তার কথা না শোনায় সে আমাকে ও আমার ছেলেদেরসহ পরিবারের সদস্যদের নামে নাশকতাসহ বিভিন্ন মিথ্যে মামলা দায়ের করে। এসব মিথ্যা মামলায় আমাকে জেল খাটতে হয়েছে। অথচ আমি দীর্ঘদিন ধরে আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। যা পদ্মপুকুর ইউনিয়ন ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এবং জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র প্রমাণ করে। শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থে নুরুজ্জামান অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে আমাকে বিভিন্ন মামলা জড়িয়ে দেয়। বিষয়টি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এমপি এস,এম জগলুল হায়দারকে জানালে তিনি তারা মিথ্যে মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এমপি জগলুল হায়দারের সাথে খুলনার সাবেক এমপি সুজাউদ্দীনের জানাযা নামাজে উপস্থিত থাকার পরও ওই তারিখে আমার নামে আরো একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে নুরুজ্জামানের নির্যাতনে আমার পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নুরুজ্জামান ১৯৭৩ সালে পাতাখালী গ্রামের শওকাত মোড়ল, ১৯৭৪/৭৫ সালে ঝাপাগ্রামের আজগর এবং ১৯৭৬/৭৭ সালে হাকিম সরদারকে হত্যা করলেও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। এছাড়া একই এলাকার তারাপদ রপ্তান, শুভাংকর গাইন, চন্দ্রকান্ড মৃধা ও সুভাষ গাইনকে সর্বশান্ত করার জন্য মংলা, বাগেরহাট, মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলায় একাধিক মিথ্যে মামলা দায়ের করে। এছাড়া খেয়াঘাট ইজারা সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে জেল খেটেছে নুরুজ্জামান। এতসব অপকর্মের হোতা হওয়া স্বত্বেও কালো টাকার প্রভাবে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। আমি আ’লীগের কর্মী হয়েও বর্তমান সরকারের সময়ে ওই প্রভাবশালী খুনী নুরুজ্জামানের অত্যাচারে আতংকিত ও নিঃস্ব প্রায়। তিনি নুরুজ্জামানের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যে মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)