নারানজোল বাজারে মরা মুরগী বিক্রি অভিযোগ শালিসে বৈঠকে জরিমানা দিয়ে রেহাই
নারানজোল বাজারের তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মরা পোল্ট্রি মুরগী বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের এক কথিত নেতার কাছে জরিমানা দিয়ে রেহাই পেল পোল্ট্রি মুরগী ব্যবসায়ী প্রতারক তরিকুল ইসলাম। তরিকুল ইসলাম হরিশপুর গ্রামের খোকনের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে ৮ আগস্ট নারানজোল বাজার এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৮ আগস্ট নারানজোল বাজারস্থ পোল্টি মুরগী ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম সাধারণ মানুষের ধোকা দিয়ে মরা মুরগী জবাই করে তার দোকানে বিক্রি করার সময় এলাকার সাধারণ মানুষ হাতে নাতে ধরে ফেলে। ওই সময় এলাকাবাসি তার পোল্ট্রি মুরগীর দোকানে তালা লাগিয়ে দেয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এঘটনায় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের এক কথিত নেতা বকুলের নেতৃত্বে গত শুক্রবার রাতে নারানজোল বাজারে এক অস্থায়ী জায়গায় বসে শালিস। শালিসে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুর রহমান ও মেহেদী মনিসহ আরো অনেকে। শালিশে বৈঠকে ওই সব নেতারা তরিকুলের ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আর ওই শালিশে বৈঠকে তরিকুল ইসলামের জরিমানা দেওয়া ১৯ হাজার টাকা ওই সব নেতারা ভাগবাটোয়ারা করে নেন বলে সূত্র জানান। স্থানীয়রা জানান, পোল্ট্রি ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে তার দোকানে মরা পোল্ট্রি মুরগী জবাই করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে প্রতারণা আসছিল। এর আগে একাধিকবার তরিকুল মরা পোল্ট্রি মুরগী বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। তাতে করে ৩০ হাজার টাকা তরিকুলকে জরিমানা দিতে হয়েছে বলে সূত্র জানান। স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা বকুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টি সত্য। বিষয়টি নিয়ে ওই বাজার কমিটি সভাপতি মনিরুল শালিশ করেছিল। তবে তাকে কোনো জরিমানা করা হয়নি। তাছাড়া এঘটনার দিন তরিকুলকে সাতক্ষীরা থানার পুলিশ আটক করেছিল বলে আমি শুনেছিলাম। পরে কি হয়েছিল আমি কিছু জানি না। নারানজোল বাজার কমিটি সভাপতি মনিরুল জানান, এবিষয়ে তাকে কোনো জরিমানা করা হয়নি। তবে তরিকুল ৭ মাস আগে মরামুরগী বিক্রি করলে এলাকাবাসি তাকে হাতে নাতে ধরে ফেললে নারানজোল বাজার ও পুলিশিং কমিটির লোকজন শালিস করে তরিকুলকে ১৯ হাজার জরিমানা করেন বলে তিনি জানান। এব্যাপারে প্রশাসনের কাছে পোল্ট্রি মুরগী ব্যবসায়ী তরিকুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।