সড়ক পরিবহন আইন মন্ত্রিসভায় উঠছে আজ

বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের কথা। আইনটি খসড়া অনুমোদন দেবে মন্ত্রিসভা। এরইমধ্যে আইনটি যাচাই বাছাই শেষ করেছে আইনমন্ত্রণালয়। মন্ত্রিপরিষদ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটি উপস্থাপনের কথা বলেছেন। নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আইনটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া তৈরি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। গত বছর মার্চ মাসে এই আইনের খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। এরপর তা যাচাই বাছাই করে মতামত দেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন যাচাই বাছাই শেষে গত বৃহস্পতিবার এ আইনের খসড়ায় মতামত দিয়ে তা ফেরত পাঠানো হয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে। ওইদিনই আইনমন্ত্রী এবং সেতুমন্ত্রী পৃথক সংবাদ সম্মেলনে আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের কথা বলেন।

গত বছর মার্চ মাসে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত খসড়ায় ছিল ড্রাইভিং লাইসেন্সে পেতে হলে অষ্টম শ্রেণি পাস করতে হবে। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো প্রয়োজন ছিল না। চালকের সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। গাড়ি চালানোর জন্য বয়স অন্তত ১৮ বছর হতে হবে। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে কিংবা প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালানোর কারণে মৃত্যু ঘটালে তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে সড়কে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো বা ‘রেস করার’ ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা ২৫ লাখ টাকা জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে। আইনে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে এবং এ ক্ষেত্রে পরোয়ানা ছাড়াই চালককে গ্রেপ্তারও করা যাবে।

চালকদের ‘পয়েন্ট কাটার’ বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায়। একজন চালক প্রতিবার আইন অমান্য করলে তার পয়েন্ট বিয়োগ হবে এবং এক পর্যায়ে লাইসেন্স বাতিল হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হত্যা করলে ৩০২ অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে প্রস্তাবিত আইনে। লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানোসহ নানা অপরাধে এই আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও, দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু বা ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ থাকলে তার বিচার ফৌজদারি আইনেই হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)