সাতক্ষীরা তলুইগাছায় স্বামীর কাছে সন্তানের স্বীকৃতি চাই মা আবেদা খাতুন

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বাঁশদহা ইউনিয়নের তলুইগাছায় সন্তানের স্বীকৃতি চাইতে গিয়ে স্বামীর হাতে স্ত্রী লাঞ্ছিত। ঘটনা সুত্রে জানা যায় তলুইগাছা গ্রামের বাসতুল্ল্যাহর ছেলে সইদুল্ল্যাহ স্ত্রী একই এলাকার সহজ সরল নিরিহ মেয়ে আবেদা খাতুন কে মুসলিম শরিয়াত অনুযায়ী বিবাহ করে। বিয়ের পর তাদের ঘর আলো করে আসে একটি সুন্দর ফুটফুটে কন্যা সন্তান। কিন্তু সুখ কপালে সইল না অভাগী আবেদার। বিয়ের চাঁর বছরের মাথায় আবেদার স্বামী আবেদাকে সুকৌশলে তালাক দেয়। বুদ্ধিমান স্বামী সইদুল্ল্যাহ পরবর্তীতে সরলতার সুযোগে আবেদাকে মিথ্যা বিয়ের ফাঁদে ফেলে আবার পূবের ন্যায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আবেদার কাছে যাতায়াত করে। পূনারায় আবেদা আবারও গর্ভবতী হয়। এসময় আবেদা তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে চাইলে চতুর স্বামী বলে আমার সন্তান তো বৈধ। সন্তান কেন তুমি তাকে এই পৃথিবীর আলো থেকে বঞ্চিত করবে। এক পর্যায়ে আবেদার কোল জুড়ে আসে তার ছোট কন্যা রিয়া মনি।

এর পর থেকে অসহায় আবেদার জীবনে নেমে আসে জ্বালা যন্ত্রণা আর তিরস্কার। কারণ আবেদার চতুর স্বামী আবেদার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করলে আবেদা দিতে ব্যর্থ হওয়াই তাকে বিভিন্ন অপবাদ দিতে লাগল যে, দ্বিতীয় সন্তানের বাবা আমি নই। একথা শুনে আবেদার মাথায় বিনা মেঘে বজ্রপাত পড়লো।

এ বিষয়ে সইদুল্ল্যাহ কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বলেন,আমার প্রথম বিয়ে সঠিক ছিল কিন্তু ২য় বিয়ে আমি মিথ্যা বিয়ে করেছি। বিয়ের কোন প্রমাণ আবেদা দেখাতে পারবেনা। এবিষয়ে আবেদা স্বামীর ও তার পরিবারের দারস্থ তলেও কোন ফল হয়নি।

এ বিষয়ে সাবেক ওয়ার্ড সদস্য শাহাজান আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ,আবেদার স্বামী আমাদের কাছে বিয়ের কথা স্বীকার করেছে। তাছাড়া আবেদার স্বামী এলাকার ইমাম সহ অনেকের কাছে সন্তানের কথা স্বীকার করেছে। অথচ তার সন্তানকে সামাজিক ভাবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করায় আবেদা সামাজিক ভাবে ছোট হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অসহায় আবেদার একটাই দাবি সন্তানের সামাজিক স্বীকৃতি। এবিষয়ে আবেদা সমাজের সলক স্তরের গণ্যমান্য ব্যাক্তির সহযোগিতা সহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)