তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে লালন হালদার (৪০) নামে এক চরমপন্থী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে দুই কনস্টেবল। শুক্রবার রাতে উপজেলার হাবাসপুর এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
লালন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত জীতেন হালদারের ছেলে। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চরমপন্থী লালন ও তার দলের অন্য সদস্যরা পাংশা উপজেলার হাবাসপুর এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে গোপন বৈঠক করছিল। এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছালে চরমপন্থী দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে লালন গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) মো. ফজলুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি একনালা বন্দুক, একটি ওয়ান শুটারগান ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় কনস্টেবল সাধন ও শাহজাহান আহত হয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হযরত আলী (৪২) নামের সন্দেহভাজন এক ডাকাত নিহত হয়েছে।
শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার পাইকপাড়ার শ্মশানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি শুটারগান, ১৪টি কার্তুজ, একটি কুড়াল, একটি ধারালো অস্ত্র ও পিস্তলের তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে র্যাব-১২-এর স্পেশাল কোম্পানি সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাকিবুল ইসলাম খান জানিয়েছেন।
কুমিল্লার তিতাসে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ডাকাতি মামলার দুই আসামি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে তিতাসের বাতাকান্দি নারাকান্দিয়া কবরস্থানের কাছে ওই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই শাহ কামাল আখন্দ।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার তিতাস থানাধীন উত্তর মানিকনগরের আল-আমিন ওরফে কাউছার (৩০) এবং বুড়িচং থানার কংশনগর চরেরপাড় এলাকার এরশাদ (৩২)। এরশাদের বিরুদ্ধে নয়টি এবং কাউছারের বিরুদ্ধে পাঁচটি ডাকাতির মামলা রয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ১২/১৩ জন সশস্ত্র ডাকাত নারান্দিয়া কবরস্থানের কাছে অবস্থান নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন খবরের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে একটি দল ওই এলাকায় অভিযানে যায়। পুলিশ কবরস্থানের সামনে পৌঁছালে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি ঢিল ছুড়তে শুরু করে। জবাবে পুলিশ শটগানের গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ডাকাত দল গুলি করতে করতে পালাতে থাকলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে পাঁচ ডাকাতকে আটক করে। এসময় দুইজনকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
গুলিবিদ্ধদের তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- কুমিল্লার শহরের ভাটপাড়ার মো. আওরঙ্গজেব (৫০), মনোহরগঞ্জের মো. মিলন (৩৫), কাজী পাড়ার নাছির (২৭), তিতাস থানার রায়পুরের শরীফুল ইসলাম এবং মুরাদনগর থানার ছালিয়াকান্দির আবু মিয়া।
এসআই শাহ কামাল বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি ও চার রাউন্ড গুলিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ অভিযানে চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।