আশাশুনি নাশকতায় দোকান পুড়িয়ে দেওয়া ব্যবসায়ী চন্দন এখন পথে বসতে চলেছে
আশাশুনির ব্যবসায়ী চন্দন দেবনাথ ২০১৩ সালে কাদের মোল্যার ফাঁসি কার্যকরের সময় নাশকতাকারীরা, তার কাপড়ের দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার পর ৩ বছর অতিবাহিত হলেও পুনর্বাসনের সুযোগ না পাওয়ায় পথে বসতে চলেছেন।
যুদ্ধাপরাধী আঃ কাদের মোল্যার ফাঁসি কার্যকরের পর ১২/১২/২০১৩ তারিখে আশাশুনির বুধহাটা বাজারে নাশকতাকারীরা তান্ডপ চালিয়েছিল। এসময় অন্যদের সাথে বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী চন্দন দেবনাথের কাপড়ের দোকান “সুলভ বস্ত্রালয়’ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে তার ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এনিয়ে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সরকারি ভাবে সরেজমিন তদন্ত শেষে ৫/৩/১৫ তারিখে যে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিল সেখানে তার নাম ও ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির কথাও ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তাকে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। মাত্র ৫০ হাজার টাকা সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছিল, যাতে তিনি ব্যবসা শুরু করতে পারেননি। তখন অর্থের অভাবে দোকানটিও হাতছাড়া হয়ে যায়। সহায় সম্বল বলতে তার আছে এক টুকরো ভিটেবাড়ী মাত্র .০৬ শতক জমিতে একটি ঘরে তিনি বসবাস করে থাকেন। আয়ের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ব্যবসার জন্য তিনি উক্ত ভিটেবাড়ি বন্ধক রেখে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক থেকে সিসি লোণ নিয়েছিলেন ১ লক্ষ টাকা। যা দিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। আগুনে মালামাল পুড়ে যাওয়ার পর ব্যবসা না থাকায় ব্যাংক ঋণ শোধ দেওয়া সম্ভব হয়নি। সরকারের সহযোগিতা পেলে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এমন আশা বুকে বেধে মাঝে মধ্যে ১/২ হাজার টাকা করে ব্যাংকে ঋণ পরিশোধের জন্য জমা করলেও মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গত ২/১১/১৬ তাং নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়ে বন্ধকী জমি বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাচ্চা-কাচ্চা ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কোথায় উঠবেন! তার শেষ ঠিকানা কোথায় হবে! নাশকতার শিকার হয়ে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বসবাসের ঠিাকানাও হারিয়ে ফেলবেন! কি অপরাধ ছিল তার? কেনই আজ তাকে পথে ঠাই নিতে হবে? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, জন প্রতিনিধি ও মানবদরদী মানুষের কাছে তার আবেদন, তাকে বসবাসের ঠিকানা ছিনিয়ে নেওয়া থেকে রক্ষা করুন, তাকে আবারও ব্যবসায়ী জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিতে কি আমরা এগিয়ে আসতে পারিনা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কি তাকে নতুন করে বাঁচতে পাশে দাঁড়াতে পারেন না।