সাতক্ষীরার সাতানীতে গৃহবধূ ও ভাদড়ায় স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা
সাতক্ষীরা সদরের সাতানী গ্রামে গৃহবধূ ফাতেমা খাতুন(১৮) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। রোববার বিকাল ৪টার দিকে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ ফাতেমা খাতুন সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকার খায়রুল ইসলামের স্ত্রী ও সাতানী গ্রামের মোছলউদ্দীন এর মেয়ে।
নিহতের চাচী কদবানু বলেন, কয়েকমাস ধরে ফাতেমা খাতুন মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। ৪ দিন আগে সে আমাদের বাড়ি আসে। তাকে নিয়ে আমরা বিভিন্ন কবিরাজের বাড়িতেও গেছি। আজ আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। বিকাল ৪টার দিকে বাড়িতে ফিরে তাকে না পেয়ে খোঁজাখুজি করি। এক পর্যায়ে দেখি সে নানির ঘরে যেয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এছাড়া রবিবার রাত ২টার দিকে রাতে সদরের ভাদড়া গ্রামে ৯ম শ্রেণির স্কুলছাত্র সাকিব হোসেন(১৭) জমিতে দেওয়া ট্যালেট(গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সাকিব হোসেন ভাদড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
ভাদড়া গ্রামের সাবেক মেম্বর মঞ্জুরুল আলম বলেন, সাকিব হাত খরচের জন্য বাবার কাছে ৫০০ টাকা চায়। বাবা তার চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় সে সকলের অজান্তে শনিবার রাত ১০টার দিকে গ্যাস ট্যাবলেট খায়। এরপর যন্ত্রনায় চিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে রাত ২ টার দিকে সে মারা যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান দুইজনের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় ২ টা অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।