দাবি পুরুন না হলেই যে কোন সময় কর্মসূচির ঘোষণা
জলাবদ্ধতা নিরসন ও বেতনা নদীর দুইপাশে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় সাতক্ষীরার সকল নদী খাল সহ পানি নিষ্কাশনের সংযোগ গুলি বেদখল হয়ে রয়েছে। সাতক্ষীরা পৌরসভার সকল রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী, সুপেয় পানির প্রচন্ড অভাবে মানুষ পানি বাহিত রোগে ভুগছে। এছাড়া বাইপাস সড়কটি আলীপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা, রেল লাইন স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ভোমরাস্থল বন্দরের আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ, সুন্দর বন কে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবিতে আজ সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ ও বেতনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির যৌথ মানববন্ধন বেতনা বাচাঁও আন্দোলনের আহবায়ক মোঃ আবিদার রহমানের সভাপতিত্বে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আলীনূর খান বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, যমুনা বাচাঁও আন্দোলনের আহবায়ক ও দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি, জেলা জজ কোর্টের পিপি এড. ওসমান গনি, অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, নাগরিক আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার, ওবায়েদুস সুলতান বাবলু ও স্বপন কুমার শীল, জজ কোর্টের এপিপি তামিম আহমেদ সোহাগ, ভূমিহীন নেতা ওহাব আলী সরদার, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য নির্মল সরকার, বেতনা বাচাঁও আন্দোলন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শফিকুর রহমান, সদস্য এনামুজ্জামান নিপ্পন, শ্যামল বৈদ্য, সাবান আলী বিশ্বাস প্রমুখ। বক্তারা বলেন, কতিপয় প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বেতনা নদীর দুই পাশেই অবৈধ দখলদাররা দখল করে নিচ্ছে বেতনা ভরাটি খাস জমি। এব্যাপারে বার বার প্রশাসনকে বলা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেই ভুমিদস্যুরা জেলা প্রশাসকের নামে একটি সাইন বোর্ড তুলে দিয়ে আবারও নতুন করে বেতনা দখল করা শুরু করেছে।
বক্তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হয়েও আমরা শুধু পৌর সভার ট্যাক্স কর প্রদান করছি। পৌরসভা আমাদেরকে পঞ্চম শ্রেণীর নাগরিক সুবিধাও প্রদান করছে না। যদিও পৌর সভা থেকে সামান্য পানি দেওয়া হচ্ছে তাতেও রয়েছে নানা বিধ ময়লা- আবর্জনা, কেচো ও পোকা মাকড়ে ভরা। এই পানি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষে পানি বাহিত রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। সুপেয় পানির প্রচন্ড অভাবে পানি কিনে খেতে হচ্ছে পৌরবাসীর।
এছাড়া রাস্তাঘাট সংস্কার না করার ফলে শহরে ব্যাপক আকারে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে বার বার পৌর মেয়রকে জানানো স্বত্বেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আজ পৌরসভা যেন কূর্ণকম্ভের মত হয়ে গেছে। উপর উল্লেখিত বিষয়গুলি পুরন করা না আগামীতে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা করেন বক্তারা।