শ্যামনগরে সরকারি ১২ টি গাছ আত্মসাৎ করলেন ইউপি সদস্য
শ্যামনগর প্রতিনিধি :
ভদ্রলোক টানা ২০০২ সাল থেকে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যে কারণে সরকারি রাস্তা (কেয়ার এর রাস্তা) এর পাশ দিয়ে গড়ে ওঠা ১২ টি শিশু গাছ তিনি কেটে নিয়েছেন।
তার আরও দাবি তারই মেয়াদকালে ঐ রাস্তায় সরকারি খরচে এক কোদাল মাটিও পড়েনি। নিজ উদ্যোগে ঐ রাস্তা গড়ে তোলার পাশাপাশি যাবতীয় গাছও তার নিজ হাতে রোপনকৃত। যে কারণে তিনি লক্ষাধিক টাকার ঐ ১২ টি গাছ কেটে নিলেও কাউকে কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করনেনি।
আলোচিত ক্ষমতাধর ঐ ব্যক্তি কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য অসীম কুমার মন্ডল। ৩০ মে বুধবার সকাল থেকে নিদয়া গ্রামে তার বাড়ির সম্মুখভাগের রাস্তার উপর থেকে ১২/১৪ জন গাছ কাটা শ্রমিককে কাজে লাগিয়ে তিনি ঐ গাছগুলো কেটে নেন।
আব্দুল আজিজ, ছবিলার রহমানসহ স্থানীয়দের অভিযোগ যাবতীয় গাছ সরকারি উদ্যোগে রোপনকৃত। তারা আরও জানান কেয়ারের ঐ রাস্তার পাশ দিয়ে খাস খাল রয়েছে।আরও প্রায় দেড় যুগ আগে সরকারি উদ্যোগে ঐ গাছগুলো রোপণ করা হয়। কিন্তু স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে নিজ প্রভাব খাটিয়ে আকস্মিকভাবে বুধবার লক্ষাধিক টাকা মুল্যের গাছগুলো কেটে নেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বলেন আমি টানা ২০০২ সাল থেকে মেম্বর নির্বাচিত হয়ে আসছি। আমার মেয়াদকালে ঐ রাস্তায় সরকারিভাবে কোন মাটি পড়েনি। আমার উদ্যোগে ঐ রাস্তা গড়ে তুলেছি। আর যাবতীয় গাছ আমরই লাগানো। যে কারণে সম্প্রতি ২টি গাছে বজ্রপাত পড়ায় আমি গাছ দুইটি কেটে নিয়েছি। এসময় আপনি ১২টি গাছ কেটে নিয়েছেন বলে প্রশ্ন করা হলে তিনি আগের বক্তব্য থেকে সরে যেয়ে বলেন, হ্যাঁ, আমি ১২ টি গাছ কেটেছি কারণ গাছগুলো আমার লাগানো।
এদিকে স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ সমুদয় গাছ সরকারি উদ্যোগে রোপনকৃত। দিনে দিনে লবণাক্তটা বেড়ে যাওয়ার কারণে গোটা এলাকা বৃক্ষশুন্য হয়ে পড়ছে। তারা আরও জানান এভাবে যথেচ্ছাভাবে গাছ কেটে নেয়ার ফলে রাস্তায় পাশের মাটি বর্সার সময় যেমন সরে যাবে তেমনী এলাকা বৃক্ষরাজি শুন্য হয়ে মরুভূমির রুপ ধারণ করবে। সরকারি এসব গাছ কেটে নেয়ার ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক এর সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।