সদর উপজেলার ভাড়ুখালী ও ছনকা ব্লকে এ আলোক ফাঁদ স্থাপন

আব্দুর রহমান:

কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধানের ক্ষেতে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের ভাড়ুখালী ও ছনকা ব্লকে এ আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। ভাড়ুখালী ব্লকে ধান ক্ষেতের পাশে আলোক ফাঁদ স্থাপনকালে উপস্থিত কৃষকদের উদ্দেশ্যে ভিডিও কন্সফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তামান্না তাছনীম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তারক কুমার বিশ্বাস, ইউপি সদস্য মুতাছিম বিল্লাহ, কৃষক গোলাম মোস্তফা, আব্দুস সামাদ, জিল্লুর রহমান, মনোয়ার হোসেন, আসাদুল ইসলাম, মাজেদা, ফরিদা খাতুন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, রাতের বেলা আলোতে অনেক পোকা আকৃষ্ট হয়। আলোকে ফাঁদ ব্যবহার করে উপকারী এবং ক্ষতিকর পাকা সহজ চেনা যায়। আলোতে আকৃষ্ট হয় পোকা উড়ে আসবে এবং আলোয় ধাক্কা খেয়ে পানির পাত্রে পড়বে। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে ২-৩ ঘণ্টা পর্যন্ত আলোকে ফাঁদ কার্যকর থাকে। কৃষকরা যদি এ উপায় অবলম্বন করে তবে ধান ক্ষেতে কী ধরনের পোকা আক্রমণ করছে, সে অনুযায়ী কৃষকরা জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারে। আলোকে ফাঁদে কখনো ক্ষেতের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না। ধান পুষ্ট হলে আর আলোকে ফাঁদ প্রয়োজন হয় না। তবে বাদামি গাছ ফড়িংয়ের আক্রমণ অব্যাহত থাকলে আলোক ফাঁদ চালিয়ে যেতে হবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ফসলের ক্ষেতে ক্ষতকির ও উপকারী পোকা-মাকড় সনাক্ত করণে আলোক ফাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে। আলোক ফাঁদ পরিবেশ ও কৃষি বান্ধব হওয়ায় কৃষকের কাছে এ পদ্ধতি দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সদর উপজেলায় ১৪ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার মোট ৪৩টি ব্লকে আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষকরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)