মমতা বলছে খেলা হবে, মোদি বলছে খেলা শেষ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারণায় বারবার বাগবিতন্ডায় জড়াচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়। দ্বিতীয় দফার ভোটের দুদিন পর শনিবার রাজ্যে পৃথক দুই সমাবেশে বাগবিতন্ডায় জড়িয়েছেন তারা।
নির্বাচনের শুরু থেকেই মমতা ‘খেলা হবে’ বলে স্লোগান দিয়ে বিজেপিকে যে হুমকি দিয়ে আসছিলেন তার পাল্টা জবাব দিয়ে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের তারেকেশ্বরে এক নির্বাচনী জনসভায় মমতার উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, খেলোয়াররা যদি আম্পায়ারের (নির্বাচন কমিশন) সমালোচনা করতে থাকে তাহলে এই ‘খেলা শেষ।’
নরেন্দ্র মোদি যখন তারেকেশ্বরে মমতাকে উদ্দেশ্য করে এমন তীর্যক মন্তব্য করছিলেন তখন সেখান থেকে ৫৮ কিলোমিটার দূরে উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলায় আরেক নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন মমতা। সেখানে তিনি বিজেপিকে বহিরাগত হিসেবে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন। এবারের নির্বাচনে এটাই তৃণমূলের মূল অস্ত্র।
মমতা বন্দোপাধ্যায় ওই সভায় বলেন, ‘বিজেপি বাংলাকে ভাগ করতে চায়। এসব মানুষ বাংলা, বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতিকে শেষ করে দিতে চায়। প্লাস্টার করা পা নিয়ে হুইলচেয়ারে বসে মমতা এ সময় আরও বলেন, ‘আমি সব সংখ্যালঘু ভাইবোনদের বলবো, আপনারা তাদের এই ভোট বিভাজন তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেবেন না।’
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিন পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে এসে মোদি বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রামের অবস্থা দেখেই স্পষ্ট, দিদি (মমতা) হারছেন।’ সঙ্গে আরও এক প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করেছিলেন মোদি— ‘দিদি কি এবার অন্য কোনো আসনে লড়বেন?’ এর পরপরেই তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য মোদির এমন বক্তব্যকে নাকচ করে দেয়।’
দ্বিতীয় দফার ভোট তথা নন্দীগ্রামের ভোটের পর শনিবার ফের মোদি বলেন, ‘বিধানসভায় হেরে লোকসভায় অবশ্যই যান। কিন্তু একটা কথা কানে কানে বলি শুনে রাখুন, আমার বারাণসী, কাশী এবং উত্তরপ্রদেশের মানুষ এত বড় মনের যে তারা আপনাকে বহিরাগত বা পর্যটক বলবেন না। বাংলার মানুষের মতোই বড় মন তাদের।’
মমতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘ওখানে তিলক কাটা মানুষ অনেক মিলবে, টিকিধারী লোকও দেখতে পাবেন। এখানে জয় শ্রীরাম শুনে তো আপনি চটে যান। আর ওখানে গেলে দুই মিনিট অন্তর ‘হর হর মহাদেব’ শুনবেন। তখন কী করবেন? কার ওপর রাগ দেখাবেন তখন?’
20
