মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ-বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, ৫ দিনের রিমান্ডে যুবক

মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ-বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, ৫ দিনের রিমান্ডে যুবক

অনলাইন ডেস্ক:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক মাদরাসাছাত্রীকে বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে দফায় দফায় ধর্ষণ ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার এজাহারভুক্ত ফয়সাল ও এজাহারবহির্ভূত মোজাম্মেল নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অন্যদিকে আরেক গ্রেফতার আসামি সাইফুল ইসলাম ইমনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনদিন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রিমান্ড মঞ্জুর করার পর শনিবার রাত ৮টার দিকে বেগমগঞ্জ পুলিশ আদালত থেকেই তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে।

রোববার দুপুরে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অপহৃত মাদরাসাছাত্রীকে ঢাকার সাভারে একটি বাসা থেকে উদ্ধার করার পর তাকে বেগমগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছে। রোববার ভিকটিমের ২২ ধারা জবানবন্দির আবেদন করলেও তার মেডিকেল পরীক্ষা করাতে না পারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা যায়নি।

উল্লেখ্য, হীরাপুর গ্রামের কাজী সিরাজের ছেলে ফয়সাল, একই গ্রামের লেদনের ছেলে জোবায়ের, সোনাইমুড়ীর কামাল হোসেনের ছেলে শামসুল হক রাসেল, হীরাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ইমন, স্থানীয় ধীতপুর দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবহিত করে ভুক্তভোগী পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ তারা ভুক্তভোগীর বাড়িতে এসে কৌশলে তার মাকে কোমলপানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে অস্ত্রের মুখে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। পরে মোজাম্মেল হোসেন নামে এক দোকানিকে ডেকে এনে জোর করে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দাঁড় করিয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে তারা।

পরে ওই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় এবং একাধিকবার ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েও রেহাই পাইনি পরিবারটি। বিয়ের পরও ভুক্তভোগী বেড়াতে এলে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।

সর্বশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আবারও আসামিরা ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বেগমগঞ্জ মডেল থানায় বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় সাইফুল ইসলাম ইমন ও ফয়সালকে এবং শনিবার এজাহারবহির্ভূত মোজাম্মেলকে গ্রেফতার করে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)