করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিলে আরও ১০৮ জন, মোট ২১২০

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রস্থল হুবাই প্রদেশে আরও ১০৮ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১১২ জনে। বিশ্বব্যাপী এ সংখ্যা অন্তত ২১২০ জন।

চীনের বাইরে অন্তত আটজন মারা গেছেন। এর মধ্যে হংকং ও ইরানে দুইজন করে এবং তাইওয়ান, জাপান, ফ্রান্স ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা গেছেন।

হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা প্রদেশের রাজধানী উহানে, যেখানে ডিসেম্বরে ভাইরাসটি প্রথম প্রকাশ পায়।

বুধবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩৪৯ জন। তবে এটি তার আগে দিনের চেয়ে ১৬৯৩ জন কম।

হুবেইয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৩১ জনে। সারাবিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ২৬২ জনে। এর মধ্যে বেশির ভাগই চীনের।

চীনের বাইরে সবচেয়ে আক্রান্ত রয়েছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রমোদতরী প্রিন্সেস ডায়মন্ডে। এই প্রমোদতরীতে ৬২১ জনের শরীরে করোনার লক্ষণ পাওয়া গেছে।

বুধবার জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব যাত্রীর শরীরে করোনার লক্ষণ পাওয়া যায়নি তাদের মধ্যে থেকে ৫০০ জনকে প্রমোদতরী প্রিন্সেস ডায়মন্ড থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন করে করোনাক্রান্ত হিসেবে ৭৯ জন শনাক্ত হয়েছেন।

এক যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়ার পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এই বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে ছিল প্রিন্সেস ডায়মন্ড। কার্নিভাল করপোরেশনের বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীতে প্রায় তিন হাজার ৭০০ যাত্রী ছিলেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর চীনের বিভিন্ন শহরসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে।

এ পর্যন্ত চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী?

এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে।

সেক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানা। তবে নতুন এই করোনাভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ থেকে এটি মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)