প্রতিপক্ষের গোপনাঙ্গ কামড়ে ৫ বছর নিষিদ্ধ ফ্রান্সের ফুটবলার

ফুটবল মাঠে কত ঘটনাই ঘটে থাকে। খেলোয়াড়দের নৈপুণ্যে দুর্দান্ত কোনো ম্যাচ কিংবা তারাই মেজাজ হারানোর কারণে খুবই কুৎসিত কোনো ঘটনা- সবই দেখা যায় ফুটবল মাঠে। কিন্তু তাই বলে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে যা ঘটেছে, তা হয়তো আগে কল্পনাও করেনি কেউ।

পূর্ব ফ্রান্সের এক স্থানীয় লিগের খেলায়, দুই দলের খেলোয়াড়দের মারামারির কারণে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে এক অ্যামেচার ফুটবলারকে। সে ফুটবলারের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে তার অপরাধটা সত্যিই বিরল। এছাড়া অপরাধের শিকার ফুটবলারকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছয় মাসের জন্য।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে গতবছরের ১৭ নভেম্বর স্থানীয় টুর্নামেন্টের ম্যাচে খেলছিল টারভিল এবং সটরিচ। সে ম্যাচটি শেষ হয়েছিল ১-১ গোলের ড্র’তে। কিন্তু ম্যাচের পরে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। যা থামাতে এসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন তৃতীয় আরেক খেলোয়াড়।

ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের কার পার্কিং অঞ্চলে টারভিল ও সটরিচের দুই খেলোয়াড় নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকলে টারভিলের এক খেলোয়াড় এগিয়ে আসেন তাদের থামানোর জন্য। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই।

উল্টো সটরিচের খেলোয়াড় মেজাজ হারিয়ে টারভিলের দ্বিতীয় খেলোয়াড়ের গোপনাঙ্গে কামড় দিয়ে বসেন। কামড়ের তীব্রতা এতোই বেশি ছিলো, টারভিলের সে খেলোয়াড়কে আক্রান্ত স্থানে ১০টি সেলাই দিতে হয়েছে এবং চারদিন পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামে থাকতে হয়েছিল।

সে ঘটনার সূত্র ধরেই পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে সটরিচের খেলোয়াড়কে। এছাড়া টারভিলের কামড় খাওয়া ফুটবলারকেও দেয়া হয়েছে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা। শাস্তি দেয়া হয়েছে স্বাগতিক দল টারভিলকেও।

মোসেলান ফুটবল ডিস্ট্রিকটের এমানুয়েল সেইলিং এ বিষয়ে বলেন, ‘ঘটনা পুরোটা ঘটেছে স্টেডিয়ামের কার পার্কিংয়ে। প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে হাতাহাতি এবং পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগিয়েছে। আমি বলবো, দোষ দুই পক্ষেরই ছিল। যেহেতু ঘটনাটা সত্যি ছিল, তাই বিশেষজ্ঞ সাক্ষীর বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই শাস্তি দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

তিনি আরও বলেন, ‘এত বেশি সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া খুব বিরল একটা বিষয়। প্রতি বছরে হয়তো এমন ১০টা ঘটনাও পাওয়া যাবে না। তবে এবারের কারণটা বেশ মুখরোচক ছিল কিন্তু অনেক কুৎসিতও বটে। এর ফলে খুব বাজে কিছুও হতে পারতো। তাই ডিসিপ্লিনারি কমিটি সহজভাবে নেয়নি বিষয়টি।’

অথচ ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হওয়ার কারণে মৌসুমে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট পেতে পারতো টারভিল। উল্টো তাদেরকে ২ পয়েন্ট পেনাল্টি এবং ২০০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। কেননা তাদের মাঠে হওয়া বিষয়টি সম্পর্কে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। এমনকি মারামারি হওয়ার খবর জানার পরেও কিছুই করেনি টারভিল কর্তৃপক্ষ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)