দেবহাটায় হয়রানীর প্রতিবাদে সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দেবহাটার পুষ্পকাটিতে বর্তমান ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানী ও তার পরিবারকে হয়রানীর প্রতিবাদে সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় দেবহাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনটি করেন কুলিয়ার ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানীর বড় ভাই আব্দুর রকিব। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইতোপূর্বে আমাদের এলাকা অর্থাৎ কুলিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন খাসখামার গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান মিজান।

তিনি জামায়ত সমর্থিত ইউপি সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে নাশকতাকালীন সময়ে প্রত্যক্ষভাবে সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে মিজানের নেতৃত্বে গাছ কাটা সহ এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালায় জামায়ত-শিবিরের ক্যাডাররা। এসব ঘটনায় নাশকতা, সরকারী গাছ কাটা সহ একাধিক মামলা রয়েছে মিজানের নামে। পরবর্তীতে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে অংশ নিলেও তার অপকর্মে তিক্ত হয়ে মিজানকে প্রত্যাখ্যান করে এলাকার জনসাধারন।

ফলে জনগনের বিপুল ভোটে মিজানের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দীতায় অংশ নিয়ে আমার ছোট ভাই গোলাম রব্বানী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। এতে করে আমার ভাই ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানী সহ আমার পরিবারের উপর ব্যাপক ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সাবেক ইউপি সদস্য মিজান। তাছাড়া গত বছর সাবেক ইউপি সদস্য মিজান সরকারী রাস্তা কাটার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমার ভাই বর্তমান ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানী ঘটনাস্থলে পৌছে তার কাজ বন্ধ করে দেয়াতেও আমার পরিরবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয় সে।

এরপর থেকে আমার পবিবারের ক্ষতিসাধন করতে একের পর এক আক্রমন চালিয়ে আসতে শুরু করে সে। আমার ছোট ভাই গোলাম রব্বানীকে ফাঁসাতে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার পাশাপাশি আমার মেজ ভাই আব্দুর রবের মালিকানাধীন খাসখামারে অবস্থিত বিসমিল্লাহ ব্রিকস নামের ইটভাটার ওপরেও কু-নজর পড়ে মিজানের। প্রকৃতপক্ষে সরকারী নিয়ম মোতাবেক স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স এবং তৎকালীন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদের মতামত সহ লিখিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র (ছাড়পত্র নং- ১৮-১১৪৩৯) নিয়ে আমাদের বিসমিল্লাহ ব্রিকস নামের জিগজ্যাগ পদ্ধতির ইট ভাটাটি পরিচালনা করা হয়।

তাছাড়া ইট পোড়ানোর লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিকট আমাদের আবেদন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইট পোড়ানোর লাইসেন্সের জন্য সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন তদন্ত পরবর্তী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাছাড়া আমাদের পরিচালিত ইট ভাটা থেকে প্রতি বছর নিয়ম মোতাবেক সরকারী রাজস্ব জমা দেয়া হয়। যার টিন নং- ৭৬৬৫৬৫৯৭৬৩৯০। সকল নিয়ম মেনে আমাদের ইট ভাটাটি পরিচালিত হওয়া স্বত্ত্বেও আমাদের ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজান আমাদের ইট ভাটাটি বন্ধ করে দিতে একের পর এক বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত অভিযোগ এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে আসছে।

বর্তমানে আমি সহ আমার গোটা পরিবার তার অব্যহত ষড়যন্ত্র ও হয়রানীর শিকার হয়ে চরম দুর্দশা ও দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছি। এমতাবস্থায় ওই ষড়যন্ত্রকারী সাবেক ইউপি সদস্য নাশকতা সহ একাধিক মামলার আসামী মিজানের ষড়যন্ত্র ও হয়রানী থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি ও আমার পরিবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)