সরকারি সাহায্য পাবে কবে ? সাতক্ষীরার ভিক্ষুক রোকেয়া

পাটকেলঘাটার সরুলিয়া ইউনিয়নের বাইগুনি গ্রামের ভিক্ষুক মৃত বাবর আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৫৬)স্বামী, সন্তানহীন   ঐ নারী অসহায় হয়ে মানবেতার জীবনযাপন করছে।  আছে তার শেষ সম্বল ২শতক জমির পর  একটু খানি কুড়েঘর তাও আজ  ধ্বংসের পথে। অর্থের অভাবে শেষ সম্বলটুকু  আজ রক্ষা  করতে পারছেনা তিনি ।পায়না কোন সরকারি অনুদান,নেই কোন  ভাতার ব্যাবস্থা,  বাধ্য হয়ে  ভিক্ষাবৃত্তিকে একমাত্র পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন তিনি ।শনিবার সরজমিনে গিয়ে চোখে পড়ল  তার এই  করুন দুর্দশার সচিত্র।
সরকারি কোন সহযোগিতা পান কিনা তার কাছে জানতে চাইলে করুন আকুতির সুরে রোকেয়া জানায় ,শুনেছি জননেত্রী শেখ হাসিনা অসহায়, হতদরিদ্রদের জন্য বিভিন্নধরনের সহযোগিতা দিয়ে  থাকেন, আমি আর কত দরিদ্র হলে সরকারি সহযোগিতা পাব বলতে পারেন? স্বামী হারানোর পর থেকে বারবার চেয়ারম্যান, মেম্বরের দারস্থ হয়েছি কিন্তু আমার  তাতে কোন ফল হয়নি। বাধ্যহয়ে ভিক্ষা করে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি এখন আমার বয়স হয়ে গেছে, আমি খুবই অসুস্থ, ঠিকমত ভিক্ষা করতে যেতে পারি না।  এই  বয়সে কোন কোন দিন না খেয়েও দিন পার করতে হচ্ছে । একটু সরকারি সহযোগিতা যদি পেতাম তাহলে আমার কষ্টটা একটু লাঘব হত।
বিষয়টা নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা বলেন,রোকেয়া মত হত দরিদ্র এই  বাইগুনি গ্রামে আর নাই তাকে বাদ দিয়ে দূনীতিবাজ ঐ মেম্বর পরিতোষ দাশ যেখানে অর্থ আছে সেখানে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। যেখানে সরকারি ঘর দেওয়ার প্রয়োজন সেখানে দেয়না, যারা বয়স্ক, বিধবাভাতার  কার্ড চালের  কার্ড  পাওয়ার যোগ্য তারা ঠিকমত পায়না, গ্রামের রাস্তাদিয়ে চলাচলের মত কোন অবস্থা নেই, আমরা তাকে  বার বার বললেও তিনি আমাদের কথায় কোন কর্ণপাত করেন না। বিষয়টা নিয়ে সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের  সদস্য পরিতোষ দাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এক কুচক্রীমহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আর ঐ মহিলার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে এজন্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নানা রকম কথা বলে বেড়াচ্ছে । আমি তাকে মাঝে মাঝে কিছু সরকারি অনুদান দিয়েছি তো,   আপনারা বোঝেন তো সবাইকে তো  আমার  দেখতে হয়।
 এ বিষয়ে সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর আলীর স্ত্রী রোকায়ার মত হতদরিদ্র সরুলিয়া ইউনিয়নে আর কেহ আছে বলে আমার  জানা নাই, আমি ঐ ওয়ার্ডের  মেম্বর পরিতোষ দাশকে  বলেছি তাকে সবধরনের সরকারি সহযোগিতা করতে, এছাড়াও আমি তার বিধাবাভাতার কার্ডের জন্য তালিকা পাঠিয়েছি আশা করি খুব শ্রিঘ্রই তা বাস্তবায়ন হবে।আসলে  রোকায়ার  বিষয়টা আমার মাথায় ছিলনা,  এবার থেকে আশাকরি  সে সব ধরনের সরকারি সহযোগিতা পাবে বলে প্রতিবেদককে জানান।
এমন অবস্থায় রোকেয়ার দুর্দশার জীবন থেকে মুক্তি পেতে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারে সহযোগিতার প্রয়োজন  বলে মনে করে এলাকাবাসী।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)