অবিবাহিত যে অভিনেত্রীর পছন্দ বিবাহিত পুরুষ!

মূলত মায়ের উৎসাহে শুরু অভিনয়। পরে অভিনয় হয়ে দাঁড়ায় তার ভালবাসার জায়গা। হিন্দির পাশাপাশি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ভোজপুরি, পঞ্জাবি ও দক্ষিণী ভাষার ছবিতেও। তিনি নাগমা। সুন্দরী এই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন এগিয়েছে বিতর্কের সঙ্গেই।

অভিজাত ও বর্ধিষ্ণু ব্যবসায়ী রাজপুত বংশে নাগমার জন্ম ১৯৭৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তার বাবার নাম প্রতাপসিংহ মোরারজি। তার মা শামা কাজি ছিলেন কোঙ্কণি মুসলিম পরিবারের মেয়ে। পরবর্তী সময়ে তার নাম হয় সীমা। প্রতাপসিংহের সঙ্গে শামার বিয়ে হয় ১৯৬৯ সালে। তবে ১৯৭৪ সালে ভেঙে যায় তাদের দাম্পত্য।

নাগমার জন্মগত নাম ছিল নন্দিতা অরবিন্দ মোরারজি। পরে তার নাম রাখা হয় নাগমা অরবিন্দ মোরারজি। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে শামা কাজি আবার বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর নাম চন্দর সাদানা। দুই মেয়ে রোশনি আর জ্যোতিকা-সহ তাদের তিন সন্তান।

অভিজাত বংশে জন্ম নিয়ে গর্বিত ছিলেন নাগমা। বাবা, অরবিন্দ মোরারজির সঙ্গে নাগমার সম্পর্কও ছিল খুব ভাল।

১৯৯০ সালে নাগমার প্রথম ছবি মুক্তি পায়। তিনি সালমানের নায়িকা হন ‘বাগি: এ রেবেল অব লভ’ ছবিতে। ‘কিং আঙ্কল’, ‘সুহাগ’, ‘লাল বাদশা’, ‘চল মেরে ভাই’, ‘ইয়ে তেরা ঘর ইয়ে মেরা ঘর’, ‘আব তুমহারে হাওয়ালে বতন সাথিয়ো’ ছবি নাগমার ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য।

নাগমা বরাবরই কংগ্রেস সমর্থক। তিনি জানিয়েছেন, রাজীব গাঁন্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা ও মুগ্ধতাই তাকে এই দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তুলেছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মেরঠ থেকে। তবে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ হাজার ২২২টি। সক্রিয় কংগ্রেস-কর্মী নাগমা ২০১৯ সালে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।

নাগমা বিয়ে করেননি। তাকে ঘিরে একাধিক পুরুষকে নিয়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছে বারবার। এক বাঙালি ক্রিকেটারের সঙ্গে তার সম্পর্ক বহুলচর্চিত। দক্ষিণের নামী অভিনেতা ও সাংসদ শরত কুমারের সঙ্গে নাগমার সম্পর্ক ছিল বলে শোনা যায়। তবে বিবাহিত শরত কুমারে সঙ্গে নাগমার প্রেম স্থায়ী হয়নি। নাগমা-ই সরে আসেন সম্পর্ক থেকে। শরত কুমারের বিরাগভাজন হয়ে যাওয়াতেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে নাগমার ক্যারিয়ার নাকি ধাক্কা খায়।

দক্ষিণী ছবিতে ক্যারিয়ার মুখ থুবড়ে পড়ার পরে নাগমা ভোজপুর ছবিতে অভিনয় শুরু করেন। ভোজপুরি ছবির সুপারস্টার রবি কিষেণের সঙ্গে তার বিশেষ ঘনিষ্ঠতা কার্যত ‘ওপেন সিক্রেট’। নাগমা কোনোদিন এই সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু রবি কিষেণ বলেন, তার স্ত্রী প্রীতি এই সম্পর্ক নিয়ে জানেন। কেননা তিনি নিজের স্ত্রীর কাছে কিছু গোপন করেন না।

এক সাক্ষাতকারে রবি জানিয়েছিলেন, তার বাড়িতে এসে প্রীতির সঙ্গে রান্নাও করতেন নাগমা। কোনো আপত্তি তো নয়ই। বরং, নাগমার সঙ্গে একই ছবিতে অভিনয়ের জন্য স্ত্রী প্রীতি তাকে উৎসাহ দিতেন বলে জানিয়েছিলেন রবি। তবে এই সম্পর্কও ভেঙে গিয়েছে।

এরপর ভোজপুরি ছবির আর এক নায়ক মনোজ তিওয়ারির সঙ্গেও নাগমার ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে গুঞ্জন শোনা যায়। ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রিতে রবির প্রতিদ্বন্দ্বী মনোজ। তবে মনোজ তিওয়ারির সঙ্গেও নিজের সব সম্পর্ক অস্বীকার করেন নাগমা।

বারবার বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা নাগমা নিজের জীবনে এখনো একা। তার ধ্যানজ্ঞান এখন রাজনীতি। জুলি-২ সিনেমা তাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)