অক্টোবরেই আরো ১৭৬৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও

আগামী অক্টোবরের মধ্যেই এমপিওভুক্তির আওতায় আসবে আরো এক হাজার ৭৬৩টি স্কুল ও কলেজ। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত এই এমপিওভুক্তির তালিকা এরইমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এটি এখন প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এমপিওভুক্তির তালিকাটিতে কিছু সংশোধনের কাজ রয়েছে। এ কারণে প্রজ্ঞাপন জারি করতে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। এ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী দেশে না থাকায় সামান্য কিছু কাজ আটকে রয়েছে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এমপিওভুক্তির তালিকায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নির্ধারণ নিয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে। এটি শিক্ষামন্ত্রীর অবর্তমানে সমাধান করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, এমপিওভুক্তির চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। এরপর সেটি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ হবে। তবে সেটি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি দেশে না ফেরা পর্যন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে আগামী তিন বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে এক হাজার ৭৬৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও পাচ্ছে। অস্থায়ী অনুমোদন পাওয়া এসব প্রতিষ্ঠানকে কিছু শর্ত দেয়া হবে, যা পূরণ করতে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির সুবিধা বাতিল করা হবে। প্রতিষ্ঠানের ধরণ অনুসারে এ ধাপে আলাদা আলাদা পরিপত্র জারি করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ে এবার ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির আবেদন জমা পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে যাচাই-বাছাই করে ২ হাজার ৭৪৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রাথমিক শর্ত পূরণ করে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছে, তাদের সবার আবেদন গ্রহণ করলে সরকারের খরচ পড়বে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। তবে মন্ত্রণালয় যাচাই বাছাইয়ে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর এমপিওভুক্তি বিপরীতে খরচ হবে দেড় হাজার কোটি টাকা।

এবার চারটি মানদণ্ড বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পরীক্ষায় পাসের হার। প্রতি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে ১০০ নম্বরে মার্কিং করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

তবে যেসব এলাকায় যোগ্য প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি সেখানে অপেক্ষাকৃত যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ আলাদাভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রজ্ঞাপন যেদিনই জারি হোক, তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এ বছরের ১ জুলাই থেকেই এমপিওর সুবিধা পাবেন।

বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজারেরও বেশি। যেখানে কর্মরত প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি মাসে বেতন ও ভাতা দেয় সরকার।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)