গ্রামীণফোনের ব্যান্ডউইথ জটিলতায় দুর্ভোগে গ্রাহকরা

গ্রামীণফোনের ৩০ ভাগ ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রাহকরা। খোদ রাজধানী শহরেই এখন আর ফোরজি এমনকি থ্রিজিও পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ মানুষ ফোরজির দামেই ইন্টারনেট কিনছেন, কিন্তু টুজিও পাচ্ছেন না। ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে কলড্রপও। বাধ্য হয়ে অফিস-আদালতে যারা গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন, তারা বিকল্প ইন্টারনেট নিয়েছেন। সাধারণ মানুষ বলছেন, টাকা পাবে সরকার আর দেবে গ্রামীণফোন। কিন্তু দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা। তাদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে?

বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেছেন, ‘গ্রাহকদের এই ভোগান্তির জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু সরকারি টাকা উদ্ধারে এর বাইরে অন্য কোনো উপায় ছিল না। সাময়িক সময়ের জন্য আমরা গ্রাহকদের এ ধরনের দুর্ভোগ মেনে নেওয়ার অনুরোধ করছি। তারা টাকা দিলেই তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।’

সাধারণ মানুষ বলছেন, এই মুহূর্তে বিকল্প ইন্টারনেট ব্যবহার করতে তাদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই সংকটের জন্য গ্রামীণফোনকেই দায়ী করছেন সবাই। সেখানে বলা হচ্ছে, ‘কোথায় বা কাদের সঙ্গে তাদের বিবাদ আছে, সেটি আমাদের জানার বিষয় না। আমরা গ্রামীণফোনকে সার্ভিসের জন্য টাকা দিই, তাদের সার্ভিস দিতে হবে। কীভাবে দেবে সেটি তাদের বিষয়।’

নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দাবি করা টাকা পরিশোধ করেনি গ্রামীণফোন। এ কারণে কয়েক দিন আগে তাদের ৩০ ভাগ ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরেক মোবাইল ফোন অপারেটর রবির কাছে বিটিআরসির ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এ কারণে গ্রামীণফোনের সঙ্গে তাদেরও ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ সীমিত করতে আইআইজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়ায় মানুষের ভোগান্তি নিয়ে বিটিআরসির কমিশনার রেজাউল কাদের বলেন, ‘এই পদক্ষেপে গ্রাহকদের কিছুটা সমস্যা হতে পারে, সেজন্য বিটিআরসির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)