কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে পণ্য বিক্রি বন্ধ করেছে টিসিবি
রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে মাসের শুরুতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সারাদেশে নিত্যপণ্য বিক্রি শুরু করে সরকার। এ কার্যক্রমে ঢাকায় ৪৫টি ট্রাক সেলসহ সারাদেশে ১৯৭টি স্পট ও শতাধিক ডিলারের মাধ্যমে পাঁচটি পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। তবে কোনো ঘোষণা ছাড়াই শনিবার হঠাৎ পণ্য বিক্রি বন্ধ করেছে টিসিবি।
নিত্য প্রয়োজনীয় চিনি, তেল, ডাল, ছোলা ও খেজুর বিক্রির মাধ্যমে রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে টিসিবি। ভোক্তাদের মাঝেও এসব পণ্য কেনায় ছিল বেশ আগ্রহ। তবে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পণ্য বিক্রি বন্ধ করায় ভোক্তা ও ডিলারদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
ঢাকার আজিমপুরে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও টিসিবির পণ্য বিক্রির ট্রাকের দেখা পায়নি ভোক্তারা। আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ এলাকার ভ্যানে কাচামাল বিক্রেতা হুমায়ুন ক্ষোভের সঙ্গে জানান, কোনো ঘোষণা ছাড়া পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দেয়া ঠিক হয়নি। এ ছাড়া সরকারি কর্মজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, তেল নিতে এসেছিলাম, কিন্তু গাড়ি আসেনি।
একই চিত্র জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেও টিসিবির ট্রাক না আসায় অনেকেই ব্যাগ পকেটে ভরে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে টিসিবির ডিলার লাভলি এন্টারপ্রাইজের মালিক লাভলি বলেন, কোনো ঘোষণা ছাড়াই পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় ভোক্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার যেখানে রমজানে পণ্য মূল্য শ্রমজীবী ও পেশাজীবিদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রতিবছর ঈদের একদিন আগে পর্যন্ত বাজারে টিসিবির তেল ও চিনি বিক্রি করে। কিন্তু এবার দশ দিনও বিক্রি করেনি। এটা রহস্যজনক। এখন চিনি বা তেলের দাম বাড়লে এর দায়ভার টিসিবিকেই নিতে হবে।
শনিবার থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ থাকার বিষয়ে ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবি জানান, আমাদের বহু ডিলার অভিযোগ করেছেন, কোনো ঘোষণা ছাড়াই তাদের পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কি কারণে বন্ধ হলো এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি টিসিবি।
তিনি বলেন, এখনো গোডাউনে প্রচুর পণ্য রয়েছে। আর যদি না থাকার দোহাই দেয়া হয়, তবে আমাদের প্রশ্ন রমজান মাসের জন্য কী পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ করেনি টিসিবি।
ডিলার সমিতির সাধারন সম্পাদক আরো বলেন, আমরা রোববার টিসিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে পণ্য না দেয়ার বিষয়টি অবহিত করবো।