সাতক্ষীরায় বখাটেদের অত্যাচার ও অপমান সইতে না পেরে দু’বোনের বিষপান

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামে বখাটেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দুই বোন বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে বুধহাটার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে।

ক্লিনিকে মেয়েদের সাথে থাকা বাকরুদ্ধ পিতা রুদ্রপুর গ্রামের আঃ খালেক জানান, তার এক মেয়ের সাথে দু’বছর আগে স্কুলে পড়ার সময় মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের আনছার আলীর ছেলে ইমনের সাথে জানাশুনা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তার লেখাপড়া বন্দ হয়ে যায়। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে বুধবার বিকালে ইমন তার দু’বন্ধু ফিরোজ ও ইয়াছিনকে নিয়ে দু’টি বাই সাইকেলে তাদের (মেয়েদের) বাড়িতে যায়। এ সময় তাদের পিতা বাড়িতে ছিলনা। সেখানে ওই মেয়েকে বিয়ে করবে বলে চাপ দিতে থাকে। মেয়ে ও বাড়ির অন্যরা না করে দিলে তারা ব্যাপক জবরদস্তি ও বাড়ির শিশুদের হত্যার হুমকি দিতে থাকে। এ সময় তার পিতা বাড়িতে আসলে তারা ঘরের মধ্যে পালালে ঘরের দরজা আটকে দেওয়া হয়। পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তারা ঘরের দেওয়াল টপকে সাইকেল ফেলে বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে ইমন একই গ্রামের সেলিমসহ তাদের লোকজন নিয়ে পুনরায় মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে সাইকেল নিয়ে আসে। এদিন (বৃহস্পতিবার) রাতে বখাটেদের অত্যাচার ও অপমান সইতে না পেরে দু’বোন একসাথে বিষপান করে। জানতে পেরে রাতেই তাদেরকে বুধহাটা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন মেয়ে দু’টিও ঘটনার বর্ণনা দেন। সেলিমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন ছেলে ও মেয়ে নাবালক। তাদেরকে বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে আর না এগুতে পরামর্শ দিয়ে আসি। কিন্তু পরে বিষপানের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

অভিযুক্ত ইমন জানান, মেয়ের সাথে তার সাড়ে ৩ বছরের সম্পর্ক। তাদের বাড়িতে যাওয়ার পর মেয়ের বাপ বাড়িতে আসলে আমি ঘরের খাটের নীচে পালাই। দরজা আটকে দিলে আমরা দেওয়ালের উপর দিয়ে পালিয়ে আসি। পরের দিন সাইকেল নিয়ে আসি। মেয়ে ও তার বোন বিষপান করেছে বলে শুনেছি বলে ইমনা জানায়।

এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব দেবনাথ জানান,মেয়ে দুটো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এটা আমি শুনেছি ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)