বুধহাটায় ১২ লাখ টাকা বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ
সাতক্ষীরার বুধহাটা কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছে ১২ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্যর মাধ্যমে এমনই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের দিকে। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক দাউদ হোসেনকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিয়োগ বোর্ডকে ওই টাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নিয়োগ বোর্ড। পাঁচ সদস্যের নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন- স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ. বাকী বিল্লাহ, বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার বসাক, ডিজি প্রতিনিধি সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পক্ষে সহকারি শিক্ষক মমতাজ হোসেন ও পরিচালনা কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন। গত কয়েক মাস আগে প্রধান শিক্ষক পদে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ৯ জন প্রার্থী ওই বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষক পদে আবেদন করেন। ১৯ জুলাই ২০১৬ তারিখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থেকে মোঃ. দাউদ হোসেন প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করেন। এজন্য গত ৫ সেপ্টেম্বর তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তাপস কুমার বসাককে দায়িত্ব ভার অর্পণ করেন। নিয়োগ বোর্ডের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য তিনি ১২ লাখ টাকা দিয়েছেন। সেই টাকার বিনিময়ে সোমবার সাজানো পরীক্ষায় তাকে প্রথম স্থান দেখিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে বসিয়ে দিলেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মো. দাউদ হোসেনের মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে তিনি ফোন বন্ধ করে রাখেন। আশাশুনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বাকী বিল্লাহ বলেন, পরীক্ষার রেজাল্ট অনুযায়ী দাউদ হোসেন প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। তবে টাকার লেনদেনের বিষয় তিনি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।