আবারো আলোচনায় সোহেল তাজ
তবে প্রধানমন্ত্রী স্নেহধন্য সোহেল তাজ শুধু আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছেই বিশ্বস্ত নয়, দলের নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশও তার ভক্ত।
এদিকে গতকাল সকালে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি নতুন প্রজন্মের জন্য স্বৈরাচারের নমুনা দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সতর্ক করে দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি আওয়ামী লীগকে গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগঠন হিসেবেও দাবি করেন। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়।
সোহেল তাজের স্ট্যাটাসটি:
‘বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দীন আহমদের হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ তার জন্মলগ্ন থেকে গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বৈরাচারীবিরোধী আন্দোলন করেছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে এই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। পরবর্তীতে একই ধারায় আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। ইদানীংকালে আমরা অনেকেই স্বৈরাচারী শাসন কী, তা হয়তো ভুলে গিয়েছি। নতুন প্রজন্মের জন্য ছোট্ট করে নিম্নে কিছু নমুনা দিলাম, যাতে করে আমরা ভবিষ্যতে স্বৈরাচার কী, তা চিহ্নিত করতে পারি।’
স্বৈরাচারী শাসন চেকলিস্ট:
১. যখন সাধারণ মানুষ তার মুক্তচিন্তা ব্যক্ত করতে ভয় পায়।
২. যখন দল, সরকার এবং রাষ্ট্র একাকার হয়ে যায় আর সরকারকে সমালোচনা করলে সেটাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে আখ্যায়িত করা হয়।
৩. যখন দেশের প্রচলিত নানা আইন এবং নতুন নতুন আইন সৃষ্টি/তৈরি করে তার অপব্যবহার করে রিমান্ডে নেয়া এবং নির্যাতন করা হয়।
৪. বিনা বিচারে হত্যা ও গুম করে ফেলা হয়।
৫. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়।
৬. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থাকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৭. যখন সাধারণ নাগরিকসহ সবার কথাবার্তা, ফোনালাপ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মনিটর ও রেকর্ড করা হয়।
৮. যখন এসব বিষয় রিপোর্ট না করার জন্য সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিকদের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে হুমকি দেয়া হয়।
তবে মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের যেকোনও কারণে হোক আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে এখন একটু দূরে। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে যা লিখেছেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত।