ক্রিকেটে অহমে বড় ধাক্কা !
আফগানদের সাথে সিরিজ হার, ক্রিকেটে অহমে বড় ধাক্কা দিল।অপ্রিয় সত্য এটাই যে, টি টোয়েন্টি ক্রিকেট আমাদের জন্য না।
আফগানরা ক্রিকেট শৈশব পার করেছে বহু আগে, এখন ওরা ক্রিকেটে কৈশরে আছে। টি টোয়েন্টি নামক ফানি গেম দিয়ে ক্রিকেট শক্তি বিচার করা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও, একটু রিস্ক নিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের সাথে সিরিজ জয় ওদের ক্রিকেট কৈশরের সার্টিফিকেট।
বোমার শব্দে একসময় যাদের প্রতিদিন ঘুম ভাংঙ্গত, অনিশ্চিৎ জীবনকে যারা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে পথ চলত তাদের মানসিক শক্তি অন্যদের চেয়ে বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই ম্যাচের শেষ দিকে আমাদের যখন ঘাম ছুটে যায় আর ওদের নার্ভ থাকে তখন বরফ শীতল ঠান্ডা।
একজন রশিদ খান যখন আইপিএলে খেলে, ওরা জড় হয়ে টিভির সামনে বসে। রশিদ খান গর্ব ওদের ক্ষনিক সময়ের জন্য ভুলিয়ে দেয়, তালেবানের চোখ রাঙ্গানি, জীবনের অপ্রাপ্তি। আজ সিরিজ জয়ের পর কল্পনায় যেন যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানদের নতুন করে স্বপ্নের বীজ বোনা দেখি।
আগে নবী ওদের কাছে আদর্শ ছিল। নবী ক্রিকেটের। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে সাহায্য করছে, এরপর রশীদ খান, মুজিবরা সেই ভিত্তিপ্রস্তরে ক্রিকেট মঈ লাগিয়েছে। যেটা বেয়ে তরতর করে উঠছে আফগানরা।
ওরা যেভাবে আগাচ্ছে, আগামী কয়েক বছর এভাবে ক্রিকেট চর্চা চললে, ক্রিকেটে আফগানদের লড়াকু একটা জেনারেশন তৈরী হবে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বহু দিন পার করার পরেও দেশের ক্রিকেট কর্তারা যেখানে একজন ক্রিকেট কোচ নিজ বুদ্ধিতে নিয়োগ দিতে না পেরে অন্য দেশের মানুষ ডাকে সেটা সেই দেশের অগোছালো ক্রিকেট কাঠামোর চিত্র।
আফগান রুপকথা তৈরীর জন্য অভিনন্দন আফগানিস্তান। শুধু মনে থাকবে তোমাদের ক্রিকেট শৈশব থেকে ক্রিকেট কৈশরে পা দেয়ার সময় আমরা ক্রিকেটের দুখো রানী হয়ে রইলাম।
খোলা কলামে প্রকাশিত সব লেখা একান্তই লেখকের নিজস্ব মতামত। এর সাথে পত্রিকার কোন সম্পর্ক নেই।
20
