কারাগারে কণ্ঠশিল্পী আসিফ
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদলত। ঢাকার আদালতে রিমান্ড চেয়ে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাজধানীর তেজগাঁও থানায় গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের দায়ের করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল মগবাজারে অবস্থিত অফিস থেকে আসিফকে গ্রেপ্তার করে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রলয় রায়। ঘটনার বৃত্তান্ত জানতে আসিফকে পাঁচ দিন হেফাজতে (রিমান্ডে) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন দাখিল করেন প্রলয় রায়।
রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ্য করেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলার আসামি আসিফকে জামিন দিলে পলাতক হতে পারে। ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং মূল হোতাকে খুঁজে বের করার জন্য আসামি আসিফকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন রয়েছে।
স্বল্প সময়ে আসামিদের নাম ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আসিফের সহযোগীদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
রিমান্ড আবেদনে তিনি আরো উল্লেখ করেন, এই কাজে ব্যবহার করা ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইসের পরিচিতি এবং আসিফের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানার জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন।
বেলা ২টার দিকে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরীর এজলাসে শুনানি শেষে রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। বিচারকের ওই আদেশের আগে আদালতে শুনানিতে তার আইনজীবী ওমর ফারক ও জাকির হোসেন আসিফের রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান।
আসিফের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগ নামায় শফিক তুহিন উল্লেখ করেছেন, গত ১ জুন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর তার অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছে। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রা. লি. কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লি. গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লি. ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে।