২৯ লাখ টাকা লুট করতে বাবাকে হত্যা করে ছেলের বন্ধুরা
ডেস্ক রিপোর্ট:
চট্টগ্রামে ব্যাংক কর্মকর্তা সজল নন্দি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পিবিআই। ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের ২৯ লাখ টাকা লুট করতেই সজল নন্দির ছেলের তিন বন্ধু মিলে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পাঁচ দিনের মাথায় হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। এরা হচ্ছে- নগরীর একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র প্রতীক মজুমদার (১৬), সদ্য এসএসসি পাস করা জয় (১৭) এবং এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জিকু বড়ুয়া (১৯)।
বুধবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে প্রতীক মজুমদার নিহত সজলের ছেলের বন্ধু।
গত রোববার নগরীর বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর এলাকার বাসা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা সজল নন্দির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের সল্টগোলা শাখায় ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন সজল। সজলের স্ত্রী রুমা নন্দী একজন এনজিওকর্মী। সজলের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার জৈষ্ঠ্যপুরা গ্রামে।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈনউদ্দিন জানান, রোববার সজলের নিজ বাসা থেকে লাশ উদ্ধারের পর পিবিআই ছায়া তদন্তে নামে। এরপর তারা ওই বাসার আশপাশ থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে। এছাড়া ওই এলাকার কিছু মোবাইলের কললিস্ট যাচাই-বাছাই করে তিনজনের কললিস্ট সন্দেহের তালিকায় নেন। পরে ফোন ট্র্যাকিং করে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পিবিআই জানায়, কিছুদিন আগে সজল রূপালী ব্যাংক থেকে পারিবারিক প্রয়োজনে ২৯ লাখ টাকা ঋণ নেন। কথায় কথায় বিষয়টি সজলের ছেলে তার বন্ধু প্রতীক মজুমদারকে জানায়।
এ তথ্য জানার পর প্রতীক তার অন্য দুই বন্ধুকে নিয়ে ঋণের টাকা লুট করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার সকালে সজলের বাসায় হানা দেয় তারা। এ সময় বাসায় সজল ছাড়া আর কেউ ছিল না।
তিন কিশোরকে বাসায় ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সজলকে টাকা বের করে দিতে বলে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তিন কিশোর সজলকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাঈনুদ্দিন বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা সজল হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে টাকার লোভে সজলকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।