শ্যামনগরে নিষিদ্ধ পলিথিনে ভরাট যমুনা পরিবেশ হুমকির মুখে

শ্যামনগর প্রতিনিধি:
উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব হীনতায় শ্যামনগরে নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব। পলিথিন ফেলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সড়কের ড্রেনটি ও যমুনা নদীটি পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। পলিথিনে পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে, ভেঙে পড়ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, উব্ররতা হারাচ্ছে মাটি, বাতাসে ছড়াচ্ছে বিষ, ভরাট হচ্ছে নদী-খাল-বিল, পরিচ্ছন্নতা হারাচ্ছে সড়ক-গলিপথ।
শ্যামনগর সদরের যমুনা নদীটি বাজারে জলবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সরকারি ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার খরচ করে যমুনা নদী খনন করে ৪টি ব্রিজ নির্মাণ করে। বর্তমানে অসাধু ব্যবসায়ীরা ব্যবহৃত পলিথিন ফেলে ভরাট করছে যমুনা নদী। পলিথিন বিক্রী শ্যামনগরে এখন প্রকাশ্যে। বাজারের সব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে পলিথিন। নিকপুর বাজারে ঘুরে দেখাগেছে, মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল, লবণ, সাবান সহ সকল মালামাল বহন করতে ব্যবহার করা হচ্ছে পলিথিন। ক্রেতাদের মালামাল বহনে দোকানদারকে বাড়তি কোন টাকা দিতে হয়না। তাই ক্রেতারা পলিথিন ব্যাগ ব্যাবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। পলিথিন ব্যবহারে কি অসুবিধা সাধারণ ক্রেতারা এগুলো জানে না তাই তাদের এব্যাপারে প্রশিক্ষন দেওয়ার দরকার। পলিথিন থেকে সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়া ত্বকের বিভিন্ন রোগের জন্ম দেয়। শুধু তাই নয় পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে পলিথিন তৈরীতে যে কাচামাল করা হয় তাহা অপচনশীল উহা জমিতে ফেললে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। এ ছাড়া পলিথিনে বহন করা যে কোন ধরণের খাদ্যদ্রব্য দীর্ঘক্ষণ থাকলে বিষক্রি হয়ে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একই সাথে পলিথিনে রাখা খাবার খেলে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারেরও ঝুঁকি থাকে। তাই পলিথিনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তি থেকে পরিবার, সমাজ থেকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। শ্যামনগর থানা সদর সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ড্রেনেজ ও পুকুর খাল খনন সহ পরিত্যাক্ত স্থানে পলিথিনে ভরে আছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনের বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দূগন্ধ ছড়িয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সহ মশার উপদ্রুপ বাড়বে। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে। বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে শ্যামনগরের সুধি মহল।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো : কামরুজ্জামান কামাল জানান ,আমরা জন সচেতনতার মাধ্যমে পাট জাতীয় দ্রব্য ব্যাবহার করার  জন্য উবুদ্ধ করছি । এই সচেতনতার মধ্য দিয়ে আগামী রমজানের মধ্যে আশা করছি পলিথিন ব্যবহার অনেক টা কমে আসবে ।

 

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)