সমাজসেবা কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কে লাঞ্ছিত করায় সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের তীব্র নিন্দা
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি :
ভূয়া এতিমের নামে সরকারি বরাদ্ধের টাকা অনুমোদন না করায় পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আখলাকুর রহমানকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হওয়ায় সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের জেলা আহবায়ক আবু রাহান তিতু,যুগ্ম আহবায়ক এস.এম গোলাম ফারুক,রফিকুল ইসলাম বাবলু,সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি,সদস্য যথাক্রমে,ইঞ্জিনিয়ার মেহেদি হাসান সুমন,মাহমুদ আলী সুমন,এস এম গোলাম রহমান,জাহিদুর রহমান লিটু,সাইফুজ্জামান প্রিন্স,আহসান উল্ল্যাহ,স.ম সেলিম রেজা সহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। তারা হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্যে মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়হারজী গ্রামে ১৯৯৭ সালে হাজী আব্দুল গফ্ফার গুলশান আরা শিশু সদন নামে একটি এতিম খানা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ে ২০২ জন এতিম দেখিয়ে ১০১ জন এতিমের নামে ১২ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্ধ অনুমোদন করান। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম সরফরাজের নিকট ভূয়া এতিম দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ দেন একই এলাকার আলতাফ মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি।তারই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহাগ হাওলাদারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।এজন্য বর্ধিত বরাদ্ধ বাতিলের সুপারিশ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন জমা দেন।এরপর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আখলাকুর রহমান ওই প্রতিবেদন সহ এতিম খানার বর্ধিত বরাদ্ধ বাতিলের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরে পাঠান। গত রোববার সকালে সভাপতি আব্দুল গফ্ফার ও এতিম খানার শিক্ষক মোস্তাফা মাহবুব সহ ৫-৬ জন ব্যক্তি যেয়ে সমাজসেবা অফিসারকে অবৈধ বিল ছাড় করতে চাপ সৃষ্টি করলে তিনি অস্বীকৃতি জানালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অপরদিকে তার উপর হামলা কারী সভাপতি আব্দুল গফ্ফার ও এতিম খানার শিক্ষক মোস্তাফা মাহবুবকে আটক করেছে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ।