শেষ মুহূর্তের গোলে ব্রাজিলের জয়

সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ম্যাচ নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের লড়াই। এমন সময় পার্থক্য গড়ে দিলেন জোয়াও মিরান্দা। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে ব্রাজিল।

গত বছর মেলবোর্নে সুপার ক্লাসিকোতে একই ব্যবধানে হারে ব্রাজিল। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নেয়ার পর টানা চতুর্থ ম্যাচ জিতে সেই হারের প্রতিশোধ নিলো পাঁচবারের বিশ্ব সেরারা।

প্রথমার্ধ দুই দলের কেউই সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। আর্জেন্টিনার পক্ষে ৮ মিনিটে নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর কাছ থেকে বল পেয়ে প্রথম শট নিয়েছিলেন জিওভানি ল চেলসো। সেটা গোলবারের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

1.শেষ মুহূর্তের গোলে ব্রাজিলের জয়

ব্রাজিল আধঘণ্টা না হতেই এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু ২৮ মিনিটে দারুণ চেষ্টায় আর্জেন্টিনাকে উদ্ধার করেন নিকোলাস ওতামেন্দি। নেইমারের ফ্রি কিক আর্জেন্টিনা বিপদমুক্ত করলেও কাসেমিরো আবার বক্সের মধ্যে বল পাঠান। ব্যাকপোস্টের কাছ থেকে শট নেন মিরান্দা। গোললাইনে দাঁড়িয়ে সেটা রুখে দেন ওতামেন্দি।

দুই মিনিট পর আর্জেন্টিনা লক্ষ্যের খুব কাছে গিয়েছিল। পাউলো দিবালার ফ্রি কিক গোলপোস্টের খানিকটা পাশ দিয়ে চলে যায়। ৪০ মিনিটে দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ছুটতে থাকা নেইমারকে থামান ওতামেন্দি। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে আবারও আর্জেন্টাইন রক্ষণভাগে আটকা পড়েন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

সতীর্থদের কাছ থেকে অভিনন্দন পেলেন মিরান্দাদ্বিতীয়ার্ধে গোলের খোঁজে মরিয়া ছিল দুই দল। আর্জেন্টিনা তাদের প্রথম পরিবর্তন আনে ৫৮ মিনিটে। দিবালা জায়গা করে দেন লতারো মার্তিনেসকে। ৬০ মিনিটে আর্জেন্টিনা আক্রমণে গিয়েছিল। লিয়ান্দ্রো পারাদেসের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসনকে শঙ্কায় ফেলতে পারেনি। পরের মিনিটে ল চেলসোকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন মারকুইনহোস।

৬৫ মিনিটে গাব্রিয়েল জেসুসের বদলি হয়ে মাঠে নামেন রিচার্লিসন। দুই মিনিট পরই ব্রাজিলকে এগিয়ে দেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। নেইমারের ক্রস ব্যাকপোস্টে পেয়েও গোলবারের পাশ দিয়ে শট নেন রিচার্লিসন।

ব্রাজিল আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ পায় ৭০ মিনিটে। নেইমার বল বাড়িয়ে দেন বক্সের মাঝখানে। আর্থার জোরালো শট নিয়েছিলেন লক্ষ্যে, কিন্তু আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক সের্হিয়ো রোমেরো বাধা হয়ে দাঁড়ান। ৭৭ মিনিটে নেইমারের দুর্বল ফ্রি কিক ক্রসবারের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে রিচার্লিসনকে আবার প্রতিহত করেন ওতামেন্দি।

৯২ মিনিটেও ম্যাচের স্কোর পাল্টায়নি, তাই নিষ্প্রাণ ড্রয়ের আভাস দিচ্ছিল ম্যাচটি। কিন্তু বারবার আক্রমণে গিয়েও ব্যর্থ হওয়া ব্রাজিল ঘুরে দাঁড়ায় ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে। কর্নার থেকে নেইমারের ক্রস একেবারে কাছের পোস্টে পান মিরান্দা, তার দুর্দান্ত হেড এবার ঠেকাতে পারেননি রোমেরো। একমাত্র লক্ষ্যভেদী শট গড়ে দেয় এই বছরের সুপার ক্লাসিকোর পার্থক্য।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)