রিয়ালকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন মাদ্রিদ!

‘মাদ্রিদ ডার্বি’ ম্যাচ হলেই সবখানে শোনা যায়, ‘জিতবেও মাদ্রিদ, হারবেও মাদ্রিদ’। কথাটা মজার ছলে বলা হলেও ঘটনা আসলেই তাই। কেননা রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যকার ম্যাচে জয়-পরাজয়ী দুই দলের নামেই যে রয়েছে মাদ্রিদ।

তেমনই এক ‘মাদ্রিদ ডার্বি’ ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে রিয়ালের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচটিতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী রিয়ালকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে উয়েফা উয়েফা ইউরোপা লিগ জয়ী অ্যাতলেটিকো।

অ্যাস্তোনিয়ার তালিনে ম্যাচের শুরুতেই রেকর্ড গড়ে বসেন অ্যাতলেটিকোর স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ডিয়েগো কস্তা। ম্যাচের মাত্র ৫০ সেকেন্ডের মাথায় রিয়ালের জালে বল ঢুকিয়ে গড়েন সুপার কাপের ইতিহাসের দ্রুততম গোলের রেকর্ড। মাঝমাঠ থেকে ডিয়েগো গডিনের বাড়ানো বল ধরে সার্জিও রামোস ও রাফায়েল ভারানেকে পরাস্ত করে গোল বারের একদম কাছ থেকে বল জালে প্রবেশ করান কস্তা।

গোল খেয়ে দমে না গিয়ে উল্টো গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে পড়ে রিয়াল। একের পর এক আক্রমণে অ্যাতলেটিকো রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখেন বেনজেমা-বেলরা। ১৭তম মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ ঠেকিয়ে দেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের গোলরক্ষক ইয়ান অবলাক।

তবে ২৭তম মিনিটে আর রক্ষা করতে পারেননি অবলাক। ডান পাশ থেকে গ্যারেথ আসা বেলের নিখুঁত ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে সমতায় ফেরান রিয়ালের ফরাসী স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। সমতায় ফিরে আরো বেশি আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে রিয়াল।

কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল পায়নি কেউই। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই ভাগ্যের সহায়তা পায় রিয়াল। ৬৩তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতরে হুয়ানফ্রা হ্যান্ড বল করলে রিয়ালের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। অধিনায়ক সার্জিও রামোসের সফল পেনাল্টি শটে ম্যাচে লিড নেয় রিয়াল।

jagonews

লিড ধরে রেখে খেলতে থাকে রিয়াল। ম্যাচে সমতা ফেরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে অ্যাতলেটিকো। ৭৯তম মিনিটে আবারো উদ্ধারকর্তা হিসেবে হাজির কস্তা। প্রথম গোলের মতোই ডি-বক্সের ছয় গজের বক্স থেকে দাঁড়িয়ে সহজেই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন কস্তা।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের একদম শেষ দিকে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো। কিন্তু তিনি গোল করতে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ।

অতিরিক্ত সময়েই ম্যাচ নিজেদের করে নেয় অ্যাতলেটিকো। ম্যাচের ৯৮তম মিনিটে দলের তৃতীয় গোলটি করেন সাউল নিগেজ। আর ১০৪ তম মিনিটে চতুর্থ গোলটি করে কফিনের শেষ পেরেক ঠুকেন কোকে। বাকি সময়ে আর কোন গোল না হলেও তৃতীয় উয়েফা সুপার কাপ জয়ের আনন্দে মাতে ডিয়েগো সিমিওনের দল।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)