মেসিদের গোলকিপারকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, চমকে উঠবেন আপানিও
দেশে তো বটেই। গোটা বিশ্বেও আর্জেন্টিনার ভক্তদের কাছে তিনি ভিলেন। সার্জিও রোমেরোও চোট পাওয়ায় মেসিদের দলে প্রথম গোলকিপার হিসেবে খেলছেন উইলি কাবালেরো। কিন্তু তার শিশুসুলভ ভুলেই আর্জেন্টিনাকে প্রথম গোল হজম করতে হয়। আর তারপরই কাবায়োরের দিকে ধেয়ে আসছে উগ্র সমালোচনা আর ঘৃণা। একটু অন্যমনস্কতা। আর তাতেই গোটা ফুটবল দুনিয়ার কাছে ভিলেন হয়ে গেলেন উইলি কাবালেরো।
সার্জিও রোমেরো বিশ্বকাপের ঠিক আগে চোট পেয়ে ছিটকে যান। বদলে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন ৩ বছরে মাত্র ৫’টা ম্যাচ খেলা কাবালেরো। হটকারিতা, বুদ্ধিমত্তার অভাব না অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস। ক্রোয়েসিয়া ম্যাচের ৫৩ মিনিটে রণভাগের খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েল মার্সাডোকে বল দিতে গিয়ে ব্যর্থ হন কাবালেরো। বল পেয়ে যান সামনেই থাকা স্ট্রাইকার অ্যান্টে রেবিচ। ডান পায়ের শটে গোল আদায় করে নিতে ভুল করেননি রেবিচ।
দেখুন আর্জেন্টিনার সেই গোলকিপারকে নিয়ে হাফডজন অজানা তথ্য-
এক. স্পেনের মালাগা ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ নজির আছে কাবালেরোর। মালাগার জার্সিতে রেকর্ড ১১টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ খেলেন। তবে হিসেব বলছে, ১১টির মধ্যে ২টি ম্যাচে দায়িত্ব নিয়ে ডুবিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য এ কথাও ঠিক তিনি তিনটি ম্যাচে অনবদ্য কিপিং করায় মালাগা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পয়েন্টের মুখও দেখেছিল।
দুই. ২০০১ ফিফা যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন কাবালেরো। তবে এরপরে সিনিয়র দলে কখনও জায়গা প্রতিষ্টা করতে পারেননি, কারণ তিনি মাঝেমাঝে খেলা থেকে হারিয়ে গিয়ে দলকে ডোবান বলে। ঠিক যেমনটা এবার রাশিয়ায় হল ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে।
তিন.২০০৫ কনফেডারেশন কাপের ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ১-৪ গোলে লজ্জার হারের মুখ দেখেছিল আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার গোলকিপার হিসেবে কাবালেরো দুটো বাজে গোল খেয়ে দলকে ডুবিয়েছিলেন।
চার. ২০০৬ সালে খেলা ছেড়ে দিয়েছিলেন কাবালেরো। কারণ সেই সময় তার ছোট্ট মেয়ে গুয়িরিমানা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছিল। তবে পরে সে সুস্থ হওয়ায় কাবালেরো মাঠে ফেরেন।
পাঁচ. ২০১৩ সালে এক সাক্ষাতকারে কাবালেরো বলেছিলেন, তিনি গোলকিপার নয়, স্ট্রাইকার হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জুনিয় দলে কেউ গোলকিপার হতে না চাওয়ায় তিনিই এগিয়ে এসে গ্লাভস পরে গোলকিপিং করেন। গোল সেভের চেয়ে গোল করায় অনেক মজা আছে বলে তিনি জানান। এমন কথা গোলকিপারের মুখে মানায়!
ছয়. আর ২০১৮ তো আপনাদের সামনেই!