মিষ্টি দিতে দেরি হওয়ায় সজন রেস্তোরা ভাংচুর,কর্মচারীদের মারপিট॥মহিলাসহ আহত-৪
মিষ্টি দিতে দেরি হওয়ায় সাতক্ষীরা শহরের বাঙ্গালের মোড়ে সজন রেস্তোরা ভাংচুর ও কর্মচারীদের মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হোটেল মালিকসহ ৪ জন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বাঙ্গালের মোড়ে আমির হোসেন এর মালিকানাধীন সজন রেস্তোরায় রাশেদ নামের এক ব্যক্তি মিষ্টি কিনতে আসেন। দোকানে ভিড় থাকায় মিষ্টি দিতে দেরি হওয়ায় রাশেদ দোকানের কর্মচারীকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে।
এক পর্যায়ে হোটেল মালিক মারপিটে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে রাশেদের পক্ষ নিয়ে শহরের ইটাগাছা মানিকতলা এলাকার মির্জার ছেলে শরিফ, মৃত গফুরের ছেলে নাজমুল, একই এলাকার জাকির সহ ১০/১২ জন লাঠি সোটা নিয়ে হোটেল ভাংচুর শুরু করে। উল্লেখ্য রাশেদ ইটাগাছা মানিকতলা এলাকার মির্জার জামাই। এসময় হোটেলের অবস্থানরত কর্মচারী ইটাগাছা এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম, গড়েরকান্দার সমীর গাজীর মেয়ে সুফিয়া বেগম, হোটেল মালিক কুখরালী এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আমির হোসেন ও তার ছেলে মামুন হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এ সময় তারা রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম মারপিটের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহতরা চিকিৎসা নেওয়ার পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দোকান মালিক আমির হোসেন জানান, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা রড, ছুরি ও লাঠি ব্যবহার করে আমাদের উপর হামলা করেছে। আমার দোকানের কর্মচারীদের ক্ষত স্থানে সেলাই পর্যন্ত দেওয়া লেগেছে।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগীরা জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।