প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় চারদিন আটকে রেখে গণধর্ষণ!

ডেস্ক রিপোর্ট :
গাজীপুরে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এক কিশোরীকে পয়লা বৈশাখের দিন অপহরণ করে বখাটেরা। পরে তাকে চারদিন আটক রেখে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ আজ বুধবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
গণধর্ষণের শিকার পোশাককর্মী ও তার স্বজনরা জানায়, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কালার মাস্টাররবাড়ী এলাকার এক পোশাক কারখানার চাকরি করার সময় বান্ধবীর মাধ্যমে শ্রীপুর উপজেলার আবদার গ্রামের বখাটে যুবক শামীমের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই কিশোরীর। পরিচয়ের জের ধরে শামীম বেশ কিছুদিন ধরে ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। কিশোরী তাতে সাড়া না দেওয়ায় তাকে অপহরণ ও খুন করার হুমকি দেয় শামীম। উপায় না দেখে কিশোরী চাকরি ছেড়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মধ্য ভূরুলিয়া এলাকায় খালার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতে থাকে।
শনিবার পয়লা বৈশাখের দিন বিকেলে বাড়ি থেকে বের হলে ওই কিশোরীকে প্রাইভেটকারে তুলে হাত-মুখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায় শামীম ও তার সহযোগীরা। কিশোরীকে শ্রীপুরের আবদার গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে চারদিন আটকে রেখে শামীম ও তার সহযোগী জুয়েলসহ পাঁচ বখাটে যুবক ধর্ষণ করে। মেয়েটি যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য ধর্ষণের পরে অপহৃতার হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে ও মুখে কাগজ গুজে ঘরের এক কোণে ফেলে রাখত। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বখাটেরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ ঘটনা জানতে পেরে যুবকদের অনুপস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কৌশলে ওই কিশোরী ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার তাকে গাজীপুর শহরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন।
শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মিয়া জানান, ভিকটিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসা ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চলছে।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)