‘চামড়া খাত ছাড়া আর কোনো নেগেটিভ খাত নেই’
আগামী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বুধবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে রপ্তানি খাতে ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সেবা খাতের রপ্তানি ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আশা প্রকাশ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পেরেছি। একমাত্র চামড়া খাত ছাড়া আর কোনো নেগেটিভ খাত নেই। অর্থাৎ অন্য কোনো খাতে নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি নেই। তৈরি পোশাক খাতে আমাদের অবস্থান খুবই ভালো। আগামী অর্থ বছরে এ খাতে ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধির আশা করছি।’
‘আজ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নতুন নয়টি পণ্যে নগদ সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগে নগদ সহায়তা দেয়া হত ২৭টি পণ্য রপ্তানিতে। গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন বাজারের জন্য আমরা নগদ সহায়তার পরিমাণ ৩ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৪ ভাগ করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া শিল্পের নেগেটিভ প্রবৃদ্ধির বিষয়ে শিল্প মন্ত্রীর সঙ্গে আজকেও কথা বলেছি। উনি বিষয়টি দেখছেন। এর সমাধান হবে। আগামীকাল চামড়া খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবো। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় গেলে নতুন বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা দেয়া হবে ৫ শতাংশ।
‘নির্বাচনের বছর রপ্তানির লক্ষ্য পূরণে কোনো বাধা হবে না’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হবে স্বাভাবিক নিয়মে, শান্তিপূর্ণভাবে। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব সহকারে নির্বাচন পরিচালনা করবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।’
‘৩০ নভেম্বরের পর একদিনের জন্যও একর্ড এলায়েন্সকে এদেশে কাজ করতে দেয়া হবে না’ বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। আমাদের একটি সুপ্রীম কোর্ট আছে, সেই কোর্টের একটি রায় আছে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে একর্ড এলায়েন্সকে তাদের কাজ শেষ করতে হবে।’