কষ্ট করেই বাংলাদেশকে হারালো অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক:

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম তিন টি-২০তে কোনোভাবেই সাফল্যের সূত্র খুঁজে পায়নি অস্ট্রেলিয়া। তবে চতুর্থ ম্যাচে এসে অবশেষে সাফল্যের দেখা পেয়েছে অজিরা। টাইগারদের বিপক্ষে তিন উইকেটের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ম্যাথু ওয়েডের দল।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নয় উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এই লক্ষ্য ৬ বল হাতে রেখেই পেড়িয়ে যায় সফরকারীরা।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রান তাড়া করতে নামেন ম্যাথু ওয়েড ও বেন ম্যাকডারমট। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওয়েডকে ফিরিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন মাহেদী। সাকিবের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পাঁচটি ছক্কা হাঁকান ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান। এখানেই ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

তবে হাল না ছাড়ার মানসিকতায় পরের দুই ওভারে ম্যাকডারমট ও ক্রিশ্চিয়ানকে সাজঘরে ফেরান নাসুম ও মুস্তাফিজুর রহমান। এই দুই ব্যাটসম্যান করেন যথাক্রমে ৫ ও ৩৯ রান।

আজ ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মার্শ

আজ ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মার্শ

এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে আরো তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় অজিরা। মিচেল মার্শ ১১, হেনরিকস ৪ ও ক্যারি করেন ১ রান। এ সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৬৫। ফলে ম্যাচে ফেরে উত্তেজনা। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা।

অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাস্টন টার্নার দুজনে দেখেশুনে খেলে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকতে শামীম পাটোয়ারীর দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে ২৭ রানে আউট হন অ্যাগার।

মুস্তাফিজের বলে কুইক সিংগেল নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অ্যান্ড্রু টাই। অন্যপ্রান্তে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন টার্নার। দলীয় নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয়ের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহেদী হাসান।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন মোহাম্মদ নাইম ও সৌম্য সরকার। টানা ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী থাকা সৌম্য এ ম্যাচে অ্যাস্টন টার্নারকে ছক্কা হাঁকিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু এ ম্যাচে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

ব্যাট ও বল হাতে হতাশা উপহার দিয়েছেন সাকিব

ব্যাট ও বল হাতে হতাশা উপহার দিয়েছেন সাকিব

সৌম্যের বিদায়ের পর নাইম ও সাকিব রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলা শুরু করেন। তবে এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন সাকিবও। প্রায় প্রতিটি বলেই মিস টাইমিং করতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ১৫ রান করে হ্যাজেলউডের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের বিদায়ের পর জোড়া উইকেট হারায় টাইগাররা। পরপর দুই বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও নুরুল হাসান সোহানকে লেগ বিদোরের ফাঁদে ফেলেন মাইকেল সোয়েপসন। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করে সোয়েপসনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নাইম। তিনি ৩৬ বলে করেন ২৮ রান। এছাড়া ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন আফিফ হোসেন। শামীম পাটোয়ারি ৩ রানের বেশি করতে পারেননি।

শেষ দিকে মাহেদী হাসানের ১৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০০ ছাড়ায়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন সোয়েপসন ও অ্যান্ড্রু টাই। এছাড়া জশ হ্যাজেলউড দুটি উইকেট নেন।

সিরিজের শেষ ম্যাচে আগামীকাল সোমবার মুখোমুখি হবে দুই দল।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)