এরাও প্রাণঘাতী…

ভয়ঙ্কর প্রাণী বলতেই প্রাণঘাতি দৈত্যাকৃতির হিংস্র সব প্রাণীর ছবি মনে আসে নিশ্চয়ই? তবে জানেন কি, শুধু বড় নয় ছোট আকৃতির প্রাণীও কখনো কখনো জীবন নাশের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। কারণ সেসব মারত্মক প্রাণীগুলো টক্সিন উৎপাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষ ছড়িয়ে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক বিশ্বর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও প্রাণনাশক প্রাণীগুলো সম্পর্কে-

ডেথস্টকার কাকড়া:

1.এরাও প্রাণঘাতী...

হালকা বাদামি অ্যাম্বার শেডের এই কাকড়ার কামড়ে ততক্ষণাৎ মৃত্যু দুয়ারে পৌছে যেতে পারেন। এই কাকড়ার জাতটি উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। অবাক হবেন যে, এই প্রাণীর কামড়ে প্রতি বছরই অসাবধানতাবশত বেশ কিছু মানুষ মারা যান।

মশা:

2.এরাও প্রাণঘাতী...

বিশ্বের সব স্থানেই মশা খুঁজে পাওয়া যায়। মশা তেমন ক্ষতিকর প্রাণী না হলেও এরা বিভিন্ন মানুষের শরীরে রক্ত শোষণের মাধ্যমে বিভিন্ন জীবানু বহন করে থাকে। এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া জ্বরসহ, জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে। আর এসব ভাইরাসে মৃত্যু পযর্ন্ত হতে পারে।

হাতি:

3.এরাও প্রাণঘাতী...

অনেকেই হাতিকে নিরীহ প্রাণী বলেই জানেন! জানেন কি? এই নীরিহ প্রাণটি আপনার মৃত্যুদূত হতে পারে। রেগে গেলে হাতিকে শান্ত করা বেশ কঠিন। আক্রমণ করতে ১৬ হাজার পাউন্ড শরীর নিয়েই দ্রুত বেগে দৌড়াতে সক্ষম। যদিও হাতি খুব কমই মানষিকে আক্রমণ করে। কারণ এরা পোষ্য প্রকৃতির প্রাণী। তবে বিপদ কিন্তু যেকোনো মুহূর্তেই ঘটতে পারে।

বক্স জেলিফিশ:

4.এরাও প্রাণঘাতী...

অসাধারণ সৌন্দর্য্যের অধিকারী এই প্রাণীটি দেখলে চোখ জুরিয়ে যাবে ঠিকই কিন্তু এর সংস্পর্শে মৃত্যুও হতে পারে। ভারতীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরে এর হদিস মেলে। এর শরীরে নিওরোটক্সিন থাকায় বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক প্রাণী হিসেবে বিবেচিত এটি। দ্রুতগতিসম্পন্ন এই প্রাণী শিকারীকে খুব কম পরিশ্রমেই ঘায়েল করতে পারে। একটি বক্স জেলি ফিশে থাকা টক্সিন ৬০ জন মানুষের মুত্যু ঘটাতে সক্ষম।

পোলার বিয়ার:

5.এরাও প্রাণঘাতী...

এই প্রজাতির ভাল্লুক মাংসাশী হয়। আর তাই শিকারকে আক্রমণ করতে পারদর্শী এরা। তবে যে কোনো প্রাণকে এরা আক্রমণ করে না। যখন কোনো ভাল্লুক মা তার বাচ্চার জীবনাপন্ন অনুভব করেন ঠিক তখনই তারা শিকারকে আক্রমণ করে।

পয়জন ডার্ট ফ্রগ:

6.এরাও প্রাণঘাতী...

লাল-নীল রঙা এই ব্যাঙ দেখতে সুন্দর হলেও একটু অসতর্ক হলেই নিশ্চিত অক্কা যাবেন। তবে এর শরীরে সংস্পর্শের মাধ্যমে নয় বিশাক্ত এই প্রাণীর শরীরের পোর্সের মাধ্যমে বের হয় নিউরোটক্সিন। এর শরীরে থাকা টক্সিন অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তারা সেন্ট্রাল এবং দক্ষিণ আমেরিকায় এদের সন্ধান মেলে।

বুমসল্যাং:

7.এরাও প্রাণঘাতী...

সবুজ রঙা এই সবুজ সাপ সাব-সাহারান আফ্রিকায় পাওয়া যায়। এই প্রজাতি সাপের টক্সিনে মানুষের অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যু হতে পারে। যদিও এই সাপ ক্ষেপে না গেলে সচরাচর আক্রমণ করে না। তবুও এর থেকে সাবধান!

কোন স্নেইল:

8.এরাও প্রাণঘাতী...

এই প্রাণীর বিশেষ দাঁত রয়েছে যা দিয়ে শিকারের শরীরে বিষ ঢুকাতে পারে। এদের আক্রমণে অনেক প্রজাতির মাছ পঙ্গু হয় আবার অনেকেই মারা যায়। এর বিষ ২০ জন মানুষ মারা যেতে পারে।

বুলেট অ্যান্ট:

9.এরাও প্রাণঘাতী...

নাম শুনেই নিশ্চয় বুঝতে পারছেন এর কামড় কেমন হতে পারে? এই পিপীলিকা প্রাণঘাতি হিসেবে বিবেচিত। পশুদেরকেও এই ছোট্ট প্রাণ ঘায়েল করতে পারে তার হুল দিয়ে। এই পিপড়ার কামড় অত্যাধিক যন্ত্রণাদায়ক এবং এটি কামড়ানোর পর ভুক্তভোগী ব্যাথার যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতেই মারা যাবেন।

গ্রেট হোয়াইট শার্ক:

10.এরাও প্রাণঘাতী...

সমুদ্রে বসবাসকারী ভয়ঙ্করতম প্রাণী হিসেবে বিবেচিত এই হাঙর। খুব ক্ষুদার্থ হলে বা রক্তের গন্ধ পেলে মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়াতে পারে যে কোনো সময়। হাঙরের অন্য প্রজাতির চেয়ে এরা একটু বেশিই রগচটা। দৈত্যাকৃতির শরীর ও বড় মুকগহ্বরের অধিকারী এই হাঙরের ৩ হাজারের মত ধারালো দাঁত রয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)