সাতক্ষীরায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মামলার আসামী কর্তৃক মিথ্যা অপপ্রচার
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একাধিক মামলার আসামী কর্তৃক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে করেন সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার মৃত হাজী ময়েন আলির ছেলে মো. আব্দুস সালাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন মোঃ ইসমাইল হোসেন বাবু আমার আপন চাচাতো ভাই। সে একাধিক মামলার আসামী। আমি তার নামে সদর থানায় একটি জিডি করি যার নং- ২৭৭, তাং- ০৬/২/২০১৩ ইং। বিগত ২০১৩ সালে ২৪ জুলাই আমার ব্যবহৃত একটি ডায়াং মটরসাইকেল চুরি করে জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরে তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। যা সে সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরে ইসমাইল হোসেন বাবু জেল থেকে বের হয়ে আমাকে বিভিন্ন সময় খুন হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে। এঘটনায় আমি বিগত ১২/১/২০১৫ তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী আদালতে ইসমাইলের নামে একটি ১০৭/১১৭ ধারা মামলা করি। যার নং- ৭৪৩/১৪। ওই মামলায় ইসমাইল বাবু আদালতে জবানবন্দি দেয় যে আমাকে সে কখনো হুমকি দিবে না বা তার দ্বারা আমার কোন ক্ষতি হবে না।
আমার চাচা আমিন আলি ৬ ছেলে তিন মেয়ে এবং স্ত্রী নামে সাড়ে ৫ শতক জমি হেবা ঘোষণা করেন। যার দলিল নং- ২৫৫০। এই দলিল মোতাবেক তারা নিজ নিজ নামে মিউটেশন করে খাজনা দাখিলা চেক কেটে জনৈক উজ্জল, সুজ্জল দুই ভাইয়ের কাছে বিভিন্ন দলিলে বিভিন্ন সময় তিন ভাই এবং তিন বোন ও মা মোট ৭জন জমি বিক্রয় করে তাদের কে দখল স্বর্ত দিয়ে যায়। সে মোতাবেক তারা ভূমি অফিস থেকে মিউটেশন করে খাজনা দিয়ে সাতক্ষীরা পৌর কর পরিশোধ করে এবং তাদের দখলি একটি দোকান আমার নিকট ভাড়া দেয় গত ইং ৮/১/২০১৭ তারিখে মাসিক ভাড়া ৫,০০০/(পাঁচ হাজার) টাকা চুক্তিতে। কিন্তু একাধিক মামলার আসামী ইসমাইল বাবু আমাকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার পর আমি গত ইং ৫/২/২০১৮ তারিখে দোকানঘর ছেড়ে চলে আসার সময় সুজ্জল এবং উজ্জল এর দোকান তাদের কাছে বুঝায়া দিয়া দোকান ছেড়ে আসি তারা উক্ত দোকান তাদের দখলে নিয়ে ব্যবসা করিতে থাকা অবস্থায় আমার ওই ভাই ইসমাইল তাদের উৎপাত করার কারণে তারা গত ইং ২৫/৩/২০১৮ তারিখে তার নামে একটা মামলা করে। মামলা নং- ৫৫৯/১৮ ধারা, ১৪৫ ফৌ: কা:বি:। কিন্তু এই ইসমাইল মহামান্য আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে গত ইং ১০/২/২০১৯ তারিখে তার দুই ভ্রাতা মোঃ রফিকুল ও রহিমসহ আরো ১০/১২ জনের বাহিনী নিয়ে ওই দোকান লুটপাট করে যা স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় ছাপা হলে আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করে যা আদৌও সত্য নয়। আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং একাধিক মামলার আসামী ওই ইসমাইল বাবুর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়, পুলিশ সুপার মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।