পাইকগাছার আলোকিত নারী সুজানা
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়ন এর কাওয়ালী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৯৩ সালে পিতা-মাতার কোল আলো করে সুজানার জন্ম।
মরহুম প্রপিতা আলহাজ্ব জাকের আলী গাজী ও মরহুমা প্রমাতা মোছাঃ মাদারী বিবির পুত্র মরহুম আব্দুল হান্নান গাজীর তিন সন্তানের পুত্র সন্তান গাজী আব্দুল আলীম ও মাতা মোসাঃ ফেরদৌসি মরিয়মের ঔরসে ১৯৯৩ সালে খালিশপুর প্লাটিনাম হাসপাতালে ১৯৯৩ সালে তার জন্ম হয়।
পিতা ও মাতার আদর-স্নেহে শৈশবে কাওয়ালী গ্রাম থেকে ৩৬ নম্বর, ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সে চতুর্থ শ্রেণীর লেখাপড়া শেষ করেন।
মায়ের সরকারি চাকরির সুবাদে রাজশাহী হরিপুর চৌধুরী সরকারি গার্লস স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করেন। পুনরায় মায়ের বদলির সুবাদে খুলনা খালিশপুর রোটারি হাই স্কুলে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ করেন।
পরবর্তীতে “খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ” থেকে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ২০০৮ সালে এসএসসি তে ৪.৫০ গ্রেড পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
২০০৯ সালে সরকারি পাইনিয়ার মহাবিদ্যালয় ভর্তি হন লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক জগতের সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং পড়াশোনায় গভীর মনোযোগের কারণে ২০১০ সালে ৪.৮০ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন পরবর্তীতে আযম খান কমার্স কলেজ থেকে ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং এ ২০১৪ সালে স্নাতক সম্মান ৩.২৫ পেয়ে এবং ২০১৫ সালে একই কলেজ থেকে মাস্টার্স পরীক্ষায় যথাক্রমে ৩.৪৭ গ্রেডে সাফল্যের সহিত লেখা-পড়া শেষ করেন পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ২০১৮ সালে সম্পন্ন করেন।
বর্তমানে তিনি উচ্চতর লেখাপড়ার জন্য এম. ফিল ও ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থিসিস জমা দেন। তার থিসিসের মূল বিষয়বস্তু ছিল ডিভিডেন্ড পলিসিঃ দি ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর অফ বাংলাদেশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিবিড় ভাবে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ শেষে উল্লেখিত বিষয়ের উপর এম ফিলও ডক্টরেট ডিগ্রী করার জন্য অনুমোদন দান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জনৈক স্যারের তত্ত্বাবধানে উচ্চতর লেখাপড়ার সুযোগ দানে চূড়ান্ত অফার লেটার সাজিয়া সুজানা উর্মি কে প্রদান করেছেন।
খুলনার কৃতি এই শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত। বাবা গাজী আব্দুল আলিম সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন ব্যবসায়ী। মাতা মোছাঃ ফেরদৌসি মরিয়ম ভূমি জরিপ ও রেকর্ড অধিদপ্তরে কর্মরত।
বাবা মার একমাত্র সন্তান হিসাবে সে লেখাপড়ার পাশাপাশি ছায়ানটের একজন নিয়মিত শিল্পী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সামাজিক ভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নৃত্য ও গানের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বর্তমানে সংবাদ উপস্থাপনের উপর একটি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে চলেছেন।
পাশাপাশি এলএলবি পড়াশোনা অধ্যায়নরত সদালাপী মিষ্টিভাষী সহনশীল মানবিক মানবতার আদর্শে অনুপ্রাণিত তিনি “ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন” এর একজন সদস্য, একজন প্রাউড ব্লাড ডোনার হিসেবে ইতিমধ্যে সংবর্ধিত হয়েছেন।
অসহায় দারিদ্র্যপীড়িত রোগীদের জরুরী প্রয়োজনে নিজ উদ্যোগে নিয়মিত রক্তদান করেন অবসর সময়ে সঙ্গীত চর্চা করেন ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে ৮ থেকে ৯টি শর্ট ফিল্ম অভিনয় করেছেন।
সমাজ সংস্কারে অনিয়ম অত্যাচার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ের শৈল্পিকতা দিয়ে বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন এবং সমাজ সচেতনতা তৈরি করে চলেছেন ইতিমধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। ৭ থেকে ৮ টি মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন। শৈল্পিক সৌন্দর্যবোধে সকল স্তরের মানুষের মনে ইতিমধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। অনলাইন সংবাদপত্রের তিনি দৈনিক প্রভাতী বার্তার ঢাকা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
খুলনার কৃতি এই শিক্ষার্থীর জন্য দৈনিক প্রভাতী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের সকল স্তরের মানুষের কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে, যেন এই কৃতি শিক্ষার্থী তার শিক্ষার আদর্শ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।