দেবহাটায় শিবির কর্মী থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ঢেপুখালির সোহাগ
এক সময়য়ের শিবির কর্মী এখন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে দেবহাটার ঢেপুখালির সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে। নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্যাডে লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঢেপুখালি গ্রামের রফিকুল গাজীর ছেলে সোহাগ হোসেন এবং তার পরিবার জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিতে জড়িত। সে সহ তার পরিবারের সদস্যরা ২০১৩-১৪ সালে নাশকতা, সহিংসতা, সড়কে পিকেটিং ও ব্যারিকেট, গাড়ি ভাংচুর সহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল। ওই সময় সে প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর ঢেপুখালি, বাবুরআবাদ, সন্ন্যাসীর চক এলাকা থেকে জামাত-শিবির কর্মীদের এনে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা ও সহিংস কর্মকান্ড চালাতো। এমনকি ২০১৩ সালের ২ মার্চ সখিপুর মোড়ে হরতাল সফল করতে সরকার বিরোধী বক্তব্যের মাধ্যমে আন্দোলন বেগবান করেন সোহাগ। এখানেই শেষ নয় ২০১৫ সালে সন্ন্যাসীর চক এলাকার এক ছাত্রীকে অপহরণ করে বিয়ে করার অপরাধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে নিজের গা বাঁচাতে সে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় এসে ভোল পাল্টাতে থাকে। এরপর তার সাধ জাগে উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার। আর তাই সে ইতোমধ্যে নিজেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সোহাগ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সব কিছু অস্বীকার করে বলেন, আমার কাছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির প্রত্যয়ন আছে।
নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সাহেব আলী জানান, সোহাগকে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে কখনো দেখিনি। তবে ২০১৩-১৪ সালে সহিংসতার সময় তাকে জামায়াত শিবিরের হয়ে কাজ করতে দেখা গেছে।
নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহমুদুল হক লাভলু জানান, সে আওয়ামীলীগের কর্মী ছিল বলে আমার জানা নেই। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি আমি জানি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কাউকে কোন পদ দিতে গেলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।