খানপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্রকরে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৭জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে খানপুরের পশ্চিমবিলের বড়খালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় মুজিবর মোড়ল (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, খানপুর গ্রামের মৃত আশরাফ আলী মোড়লের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাবুরা ওয়ারেশ সূত্রে খানপুর পশ্চিমবিলের বড়খালে ৭০শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলো। তাদের ভোগদখল জমি একই গ্রামের মুজিবর মোড়লের ছেলে রফিকুল ইসলাম নিজেদের জমি বলে দাবি করতে থাকে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। জমি নিয়ে বিরোধ চলায় সাইফুল ইসলাম বাবুরা তাদের ওয়ারেশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি রক্ষার্থে সাতক্ষীরা সিভিল কোর্টে মামলা দায়ের করে। মামলায় সাতক্ষীরা সিভিল কোর্ট সাইফুল ইসলাম বাবুদের পক্ষে রায় দেয়। কোর্টের রায় সহ স্থানীয় সালিশীনামার রায় নিজেদের পক্ষে পাওয়ায় সাইফুল ইসলাম বাবুরা ওই জমিতে ইরি ধান রোপণ করে। তবে শুক্রবার সকালে রফিকুল ইসলাম সহ তার গুন্ডা বাহিনী নিয়ে বাবুদের রোপণ করা ইরি ধান নষ্ট ও দখল করতে যায়।
https://www.facebook.com/1097067257079185/videos/377179909747569/
এ সময় সাইফুল ইসলাম বাবুরা জমির ধান নষ্ট ও জমি দখল করতে বাধাঁ দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতর্ক একপর্যায়ে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আগে থেকে দেশি অস্ত্রে সজ্জিত থাকা খানপুুর গ্রামের মৃত. আকিমদ্দী মোড়লের ছেলে মুজিবর মোড়ল, মুজিবর মোড়লের ছেলে রফিকুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, মোহাম্মদ মোড়লের ছেলে আব্দুর রশিদ, আজিবার রহমান ছেলে বাবলু রহমান ও লাভলু রহমান সহ অজ্ঞাত ৩০/৩৫জন ব্যক্তি সাইফুল ইসলাম বাবুদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে খানপুর গ্রামের মৃত. আশরাফ আলী মোড়লের ছেলে মাসুম বিল্লাহ, নজরুল ইসলাম গাজীর ছেলে আব্দুল আলিম, মৃত. ছাত্তার সরদারের ছেলে মিজানুর রহমান সহ আরো ৪জন গুরুত্বর ভাবে আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধারকরে চিকিৎসার জন্যে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উভয়পক্ষের সংঘর্ষের সাথে সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।