আশাশুনিতে মটর সাইকেল চালক জাহাঙ্গীর আলমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা:আটক-৪
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ভাড়ায় চালিত এক মটর সাইকেল চালককে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘাতকরা তার লাশ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সেফটি ট্যাংকির মধ্য ফেলে রাখে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে অশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার সেফটি ট্যাংকির মধ্য থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনা জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।
নিহতের নাম জাহাঙ্গীর আলম(১৯)। সে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খোকন গাজীর ছেলে।
নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুন জানায়, তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম পেশায় একজন ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল চালক। বুধবার রাত ১০ টার দিকে রবিউল, আল আমিন ও আব্দুল আজিজ একসরা লঞ্চঘাটে যাওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীরের মটর সাইকেল ভাড়া করে। এরপর রাতে আর তার স্বামী জাহাঙ্গীর বাড়ি ফেরেনি। পরেরদিন বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আব্দুস ছাত্তারকে জানায়।
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের দফাদার আব্দুস সাত্তার জানান, বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনকে জানান। তিনি রবিউলকে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন লঞ্চঘাট যাওয়ার পথে মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার কাছে পৌছালে পিছন দিক থেকে চালক জাহাঙ্গীরের গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার পর লাশ ওই মাদ্রাসার সেফটিক ট্যাংকির মধ্যে ফেলে রেখে ঘাতকরা মটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে রবিউল ইসলাম ও আল আমিনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে পুলিশ এসে মধ্যম একসরা দাখিল মাদ্রাসার সেফটিক ট্যাংকির মধ্য থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৪০), একই গ্রামের আল আমিন কারিকর(২৫) রবিউল ইসলাম (৩০) ও দেবহাটা উপজেলাার কোমরপুর গ্রামের শরীফুল ইসলাম (৩৫)। আটক করা হয়েছে। শরীফুল ইসলামের বাড়িতে থেকে মটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি আরো জানান।
দৈনিক সাতক্ষীরা/জি.এম.কে