রাজাকারের ছেলে মোজাফ্ফার হোসেন জেলা কৃষকলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক (পর্ব- ৩)
সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মোজ্জাফ্ফার হোসেন তার অত্যাচারের শিকার হচ্ছে অনেক সাধারণ মানুষ। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তার ভয়ে।মিথ্যা মামলা আর নানা প্রকার প্রতারণা যার প্রধান স্বভাব। জেলা কৃষকলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সেই ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না এলাকার সাধারণ মানুষ।
কুলিয়া ইউনিয়নের খাসখামার গ্রামের মৃত ঈমান আলীর ছেলে প্রতিবন্ধী মোসলেম সরদার সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন, মোজাফ্ফারের পিতা ইব্রাহিম গাজী একজন রাজাকার ছিলেন। ঈমান আলীর পিতাকে ৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল ইব্রাহিম গাজী। কৌশলে পাকহানাদার বাহিনীর হাত থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসে ঈমান আলী। এখন রাজাকারের ছেলে হয়েছে জেলা কৃষকলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক।
তিনি আরাও জানান,সদর উপজেলার হারদ্দাহ গ্রামের আনারুলকে অপহরণ করে মোজাফ্ফার। পরবর্তীতে তার মুক্তিপণ হিসেবে দশ লক্ষ টাকা আদায় করে আনারুলের পিতা মাহবুবের কাছ থেকে। এছাড়া সদর থানার বৈচনা গ্রামের সুলতান গাজীর ছেলে আব্দুল করিমকে একটি রাইস মিল তৈরি করে দেওয়ার নামে ও তার জামাইয়ের চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
আরো পড়ুন- নানা অপকর্ম ও অনৈতিক কাজের মূল হোতা দেবহাটার মোজাফ্ফার পর্ব- ২
তাছাড়া ভূমি অফিসের নায়েব সেজে বৈচান গ্রামের মৃত মোখছেদ গাজীর ছেলে আব্দুল মারিকের কাছ থেকে খাঁস জমি ইজারা দেওয়ার নাম করে ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। এমনকি প্রতিবন্ধী মোসলেম সরদার ও তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি মোজাফ্ফারের হাত থেকে মোসলেমের ১০ শতক জমি জোর করে দখল করে নিতে যায়। এ নিয়ে তার সাথে বিরোধ হলে তার ভাইপোকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। বর্তমানে প্রতিবন্ধী ওই পরিবার মোজাফ্ফারের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মোজাফ্ফার দিনের পর দিন আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয়ে অপরাধ করে চলেছে।তাকে থামাবে কে? এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
আরো পড়ুন- নানা অপকর্ম ও অনৈতিক কাজের মূল হোতা দেবহাটার মোজাফ্ফার
এসকল অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য মোজাফ্ফার হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (০১৭১১-৩৬১৪৪৫) নাম্বারে একাধীকবার ফোন দিলেও রিসিভি না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মন্জুর হোসেন বলেন, মোজাফ্ফারের কৃষকলীগের পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এটা সত্য। তবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার তার বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সে গুলি আমরা ক্ষতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।
মোজ্ফ্ফাারের পিতার বিষয়ে জানতে চাইলে দেবহাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল গণি বলেন, রাজাকারদের তালিকা দেখে জানাতে পারবো ইব্রাহিম গাজী রাজাকার ছিলেন কিনা।