নানা অপকর্ম ও অনৈতিক কাজের মূল হোতা দেবহাটার মোজাফ্ফার পর্ব- ২
সাতক্ষীরা জেলা ওলামালীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোজাফ্ফার হোসেন খোকন(৪৮) এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছে নানা অপকর্ম। ।সে দেবহাটা উপজেলার খাসখামার গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর ছেলে। তার প্রতারণার শিকার হয়েছে অনেক ব্যক্তি। বিভিন্ন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ফাঁসিয়েছেন অনেক সাধারণ মানুষকে। স্থানীয় মোসলেম সরদার মোস্তাকিম আহমেদ ও ইউপি সদস্য রিপন সরদারসহ অনেকে জানান,সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবীর মুহরির পরিচয় দিয়ে সদর উপজেলার ঝাউডঙ্গা বাজারের মৃত আব্দুল ছালাম কাজীর ছেলে মান্নানের জামিন করে দিবে বলে তার স্ত্রী ফিরোজা বেগমের কাছ থেকে টাকা নেয়। কিন্তু মুজাফ্ফার কোটের মুহরি না বিষয়টি জানতে পেরে ফিরোজা খাতুন আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তারই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত প্রতারণার দায়ে তাকে জরিমানা ও অনাদায়ে কারাদন্ডের আদেশ দেন। এছাড়া সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মোল্ল্যার ছেলে আব্দুল ওহাবকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার নাম করে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় মোজাফ্ফার। তাছাড়া দেবহাটা গ্রামের আনিস মোল্ল্যার ছেলে নুরুল আমিন মেজাফ্ফারের খপ্পরে পরে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়। কারণ ছিল মুনজিতপুর গ্রামের সুলতান হাজীর ছোট মেয়ে জহুরাকে গোপনে বিয়ে করে নুরুল আমিন। এই কথা মোজাফ্ফার হোসেন জানতে পেরে নুরুলকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং বিশ হাজার টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে মোজাফ্ফারের অত্যাচারে পালিয়ে ভারতে চলে যায় নুরুল। এরপরও এলাকায় মুরগী চোর হিসেবে খ্যাত ওই মোজাফ্ফার। তার অপকর্মের যেন শেষ নেই এমনই শত অপকর্মের সাথে জড়িয়ে রয়েছে তার জীবন। এলাকার সাধারণ মানুষের ত্রাস,জুলুমবাজ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে মোজাফ্ফার।
এ বিষয়ে মুঠো ফোনে মোজাফ্ফার হোসেন খোকেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তিনি সাতক্ষীরা জেলা ওলামালীগ থেকে বহিষ্কার হলেও বর্তমানে তিনি জেলা কৃষকলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড.নওশের আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোজাফ্ফার হোসেন বর্তমান ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে সেগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলবে