কালিগঞ্জে এমজেএফ প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকদের শিবির কানেকশনে স্কুলটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম
কালিগঞ্জের এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী স্কুলটি জামায়াত শিবির ক্যাডারদের নিয়ন্ত্রণে। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের নানান দুর্নীতির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি আত্মীয়করণ বেশি চাওর হয়ে উঠেছে। শিবির পরিচালিত ও সরকার নিষিদ্ধ পিস স্কুলের সংগীত শিক্ষক শিবির নেতা মঈনুল ইসলাম(মঈন) ও কুষ্টিয়া ভার্সিটির এক সময়ের শিবির নেতা অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক জালালুর রহমান সহ ৪/৫ জন সক্রিয় জামায়াত শিবির নেতাকর্মী দলীয় কার্যক্রমে আজও তৎপর। উপজেলা এলাকায় বিষয়টি ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। অনুসন্ধানে জানাগেছে, নলতা ইন্দ্রনগর ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র, শিবির নেতা, ইন্দ্রনগর গ্রামের শেখ মোনাজাত আলীর ছেলে মঈনুল ইসলাম কালিগঞ্জের সামপান শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য ছিল। পরে শিবিরের কেন্দ্রীয় শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসাবে সাড়ে চার বৎসর চাকুরী করার পাশা পাশী সরকার নিষিদ্ধ জামায়াত পরিচালিত পিচ স্কুলের শিক্ষকতা করে, বর্তমান সরকার ঐ বিতর্কিত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করায় ঢাকা থেকে পালিয়ে বাড়ীতে এসে এম জে এফ স্কুলে ঢুকে পড়ে।এখানে থেকে সরকার বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকে মঈন। গত ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তার ফেসবুকের টাইম লাইনে দেয়া পোষ্ট তারই প্রমাণ মেলে। তার বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী মাছুমা কে মারপিট, যৌতুক দাবীসহ স্ত্রীকে জোর পূর্বক তালাক দিয়ে তাদের এক মাত্র শিশু কন্যা সন্তানকে কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার দাদা মুনছুর হাজীর ভাষ্যমতে প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষিকা শাপলার সাথে মঈনের দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়ার কারণে তাদের সংসার ভাঙে। প্রধান শিক্ষক জালালুর রহমান কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত থাকা কালীন শিবিরের সক্রিয় কর্মী ছিল। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের সহিংসতায় গাছ কাটা সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।এ সকল ঘটনা ধামা চাপা দিতে তিনি বেশ কিছুদিন ঢাকায় আত্ম গোপন করে ছিলেন। এম জে এফ স্কুলে ঢুকে এবং জামাত নেতা চশমা আজিজের ভাতিজা পরিচয় দেয় এবং স্কুলের জাকাত ফান্ডে বায়ান্নো হাজার টাকা সে বিভিন্ন জামাতের লোকদের কাছ থেকে আনে।যাহা স্কুলের আদায় রশিদ চেক করলে পাওয়া যাবে। জালালুর রহমানের স্ত্রী এক জন জামাতের মহিলা কর্মি। এছাড়া স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা রাবিয়া খাতুনের পিতা ও আজহারুলের ভাই আব্দুর শেখ সক্রিয় একজন জামাত কর্মি। ২০১৩ সালের সহিংসতার সময় নলতা বাজার, তারালী বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে জামাতের নেতাদের সাথে লাঠি দা নিয়ে মহড়ায় নেমেছিল। রাবিয়া খাতুন ইসলামি ছাত্রী সংগঠনের কর্মী ছিল। তাছাড়া সরকারি নিতি মালার বাহিরে তাকে নিয়োগ দেয় স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আজহারুল ( রাবিয়ার ছোট চাচা) বি এ পাশের জায়গায় এইস এসসি পাশে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়, যেটি সম্পন্ন নিয়ম বহির্ভূত। তার স্বামী উপজেলার গণপতি গ্রামের শেখ আব্দুল কাদিরের বড় ছেলে বি এন পি নেতা সেখ সালাহ উদ্দিন ক্যাপটেন। কে এই ক্যাপটেন? এমন প্রশ্নের জবাব মিলাতে পারছে না সচেতন জনগণ। সে উন্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ে থেকে এইসএস সি পাশ করে কালিগঞ্জ সেটেল মেন্ট অফিসে দালালি করে মানুষ ঠকানো কাজ করে। সে বহু মানুষের সর্বনাশ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সে বিলকাজলা গ্রামের সেখ আব্দুর রাজ্জাকের জামাই হওয়াতে অত্র এলাকার বহু মানুষ কে ক্ষতি করেছ। তার ছোট চাচা শ্বশুর আজহারুল প্রতিবন্ধী স্কুলে তাকে হিসাব রক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়। এমনি ভাবে কালিগঞ্জের প্রতিবন্ধী স্কুলটি জামায়াত শিবিরে ভর করে চলেছে। প্রতিবন্ধী স্কুলে চাকুরীর সুবাদে ন্যাশনাল সার্ভিসের সুবিধা গ্রহণ সহ নানান অনিয়মে ফুঁসে উঠেছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্তা ব্যক্তিরা এমজেএফ প্রতিবন্ধী স্কুলটি নজরদারীতে রাখছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সব মিলে কালিগঞ্জ উপজেলা এলাকার সচেতন মহল প্রতিবন্ধী স্কুলের সকল অনিয়মের প্রতিকার ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেছেন।